প্রকাশিত: ৯:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছানোয় রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট আবারও ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের নিশ্চিত করেন।
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্প্রিলওয়ে বা জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল।
২৫ অগাস্ট থেকে ১৫ দিন খোলা রাখার পর ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, টানা বৃষ্টি এবং উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় ফের শনিবার সন্ধ্যায় জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ হতে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ছিল ১০৮.৫৫ এমএসএল।
প্রকৌশলী আব্দুজ্জাহের গণমাধ্যমকে বলেন, পানি বাড়তে থাকলে গেইট খোলার পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে। ২৫ অগাস্ট গেট খোলার সময় ছয় ইঞ্চি করে খোলা হলেও পরে তা পর্যায়ক্রমে পাঁচ ফুট পর্যন্ত খোলা হয়। পানি বিপৎসীমার নীচে নামার পর ৯ সেপ্টেম্বর বন্ধ করা হয় গেটগুলো।
গতকাল থেকে বৃষ্টির কারণে আবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তাই আবার খুলে দেওয়া হলো ১৬টি জলকপাট।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই বাঁধ বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত ও চট্টগ্রাম থেকে ৬৫ কিলোমিটার উজানে কর্ণফুলি নদীর উপর নির্মিত একটি বাঁধ। কাপ্তাই হ্রদ নামে পরিচিত এটির একটি কৃত্রিম জলাধার রয়েছে যার পানি ধারণক্ষমতা ৫২,৫১,০০০ একর (২১,২৫,০০০ হেক্টর)। বাঁধ ও হ্রদটি নির্মাণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest