ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ ঠেকাতে জর্ডানের চেষ্টা

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২৪

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ ঠেকাতে জর্ডানের চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় প্রতিশোধমূলক হামলায় চালাবে ইরান। অপরদিকে ইসরায়েলও কঠোর প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে।

 

এ ধরনের পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় এগিয়ে এসেছে জর্ডান। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে ইরানকে শান্ত থাকতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। কারণ, ইরান আগ বাড়িয়ে হামলা না করলে আপাতত যুদ্ধটা এড়ানো সম্ভব হবে।

 

দ্য উইকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৪ আগস্ট) জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ইরান সফর করেছেন। দুই দশকের মধ্যে এ প্রথম জর্ডানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরান গেলেন। তিনি ‍ইরানকে প্রতিশোধমূলক হামলা না করতে চাপ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানকে পশ্চিমাদের মিত্র হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রতিনিয়ত সেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে। তারা জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু জর্ডান তার পররাষ্ট্র নীতিতে অটল।

 

এমনকি চলতি বছর ইসরায়েলে ইরান যখন হামলা করেছিল, তখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সাহায্য করছিল জর্ডান। কিন্তু জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আন্দোলনে নামেন। তবুও এবারও ইসরায়েলের পক্ষে তদবিরে নেমেছে জর্ডান। অবশ্য হানিয়ার মৃত্যু নিয়েও তারা নিন্দা জানিয়েছে।

 

আয়মান সাফাদির সমঝোতার চেষ্টা নিয়ে ইরানি কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছে। অভ্যান্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, জর্ডানের উদ্দেশ্য ভালোভাবে নেয়নি ইরান। তাকে জানানো হয়েছে, এ ইস্যুতে সমঝোতার কোনো পথ খোলা নেই। হানিয়া তেহরানের অতিথিটি ছিলেন। তাকে হত্যা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে ইরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার খবর জানা যায়। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়াহ গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়াহ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়াহ এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

এরপর ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইতিমধ্যে গোপনে তিনি হামলার আদেশও জারি করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির তিনজন কর্মকর্তা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে এ তথ্য জানান। তবে হামলার কৌশল এখনও অস্পষ্ট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন