সিলেটের প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও বিদ্যাপীঠে পাঠদান হয়নি

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৪

সিলেটের প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও বিদ্যাপীঠে পাঠদান হয়নি

বন্যায় তলিয়ে গেছে প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: মো: আবু বক্কর

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরে টানা তৃতীয় দফা বন্যার কবলে সিলেট। বন্যার কারণে সড়ক, কৃষি, মৎস্য, অবকাঠামোসহ নানা খাতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের উত্তরপূর্বের এই জেলা। ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষাখাতেও। বন্যার ফলে জেলার প্রায় পাঁচশ’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

 

জানা গেছে, বন্যার কারণে সিলেট জেলায় ৩৯৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৫টির মতো কলেজে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

 

বুধবার প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও সিলেট বিভাগের প্রায় হাজারও বিদ্যাপীঠে পাঠদান হয়নি। পাঠদান বন্ধ থাকা এসব বিদ্যাপীঠের অধিকাংশই এখনো পানির নিচে, আবার কোনো কোনোটি ব্যবহৃত হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে।

 

সিলেট বিভাগীয় বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগে মোট বন্যা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন। বন্যায় গৃহহীনদের আশ্রয়ের লক্ষ্যে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে মোট ৩৬৬টি। এতে আশ্রয়গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে সিলেটে ১৯০টি, সুনামগঞ্জে ৬০টি, হবিগঞ্জে ৮টি ও মৌলভীবাজারে ১০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্র অধিকাংশই খোলা হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

 

সিলেট জেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৮৩৭ জন, হবিগঞ্জে ৭৯২ জন ও মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ৭০৮ জন।

 

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় বুধবার খুললেও সিলেট বিভাগের প্রায় হাজারও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি।

 

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের ৫ হাজার ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি। সেসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশই এখনো পানিতে দলিয়ে আছে। একটা অংশ ব্যবহৃত হচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকার গৃহহীনদের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে।

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বন্যায় বেশকিছু বিদ্যাপীঠে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এদিকে বন্যার পানি না নামতেই ফের বন্যা। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

 

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯৭টি ইউনিয়ন ফের বন্যায় প্লাবিত। বন্যায় আক্রান্ত এক হাজার ১৭৬টি গ্রামের ৭ লাখ ১৬ হাজার ৫৮ মানুষ।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার বলেছেন, আমরা প্রায় ২০টা নদী খননের পরিকল্পনা করছি।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন