সি‌লেট বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা খোলা হয়েছে ৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৪

সি‌লেট বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা খোলা হয়েছে ৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র

মোহাম্মদ সানোয়ার আলী : কয়েক দিনে অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এর ফলে দক্ষিণ সুরমার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকার বাড়ি ঘর ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ সুরমা বঙ্গবীর রোডে হাটু সমান পানির কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া সিলেট-সুলতানপুর রোডের পিরোজপুর এলাকা, সিলেট-কামালবাজার রোডের অনেক স্থানে পানি উঠে গেছে। সিলাম, জালালপুর, মোগলাবাজার, তেতলী, মোল্লারগাও, কামালবাজার ইউনিয়নের বেশ কিছু বাসা বাড়িতে পানি উঠে গেছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য খোলা হয়েছে ৪৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের ২৫, ২৬, ২৮, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় পানি উঠে গেছে।

 

মঙ্গলবার সরেজমিনে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট-কামালবাজার সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সুরমা নদীর পানি উপচে সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আটকাতে বালির বস্তা দিয়ে বাধ দেয়া হয়েছে। নদী তীরের বাসিন্দাদের অনেকের বাড়িতে পানি উঠায় কেউ আশ্রয় কেন্দ্র ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে গেছেন। যারা আছেন তারা কোন মতে দিন কাটাচ্ছেন। আরও পানি বাড়তে থাকলে তাদেরও আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হতে পারে।

 

দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে হাটু সমান পানি উঠে গেছে। যার কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহ ছোট আকারের গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেত না পারায় বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে।

 

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এসব এলাকা মঙ্গলবার (১৮ জুন) পরিদর্শন করেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সিটি করপোরেশনের ২৬, ২৮ ও ২৯ নং ওয়ার্ডের আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে যান সিসিক মেয়র। এসময় তিনি কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের খোঁজ খবর নেন ও বন্যা দুর্গতদের জন্য সিসিকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

 

এছাড়া দক্ষিণ সুরমার বর্নাত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করে সহায়তা করে যাচ্ছেন সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও উপজেলো চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম।

 

এদিকে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি রায় জানিয়েছেন, বর্নাতদের সহায়তায় ইতোমধ্যে ২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত আছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন