সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৪

সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার  কোটি টাকার বাজেট পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে তিনি প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রী বিকাল ৩ টা থেকে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন। আবুল হাসান মাহমুদ আলী দেশের ৫৩তম বাজেট উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম বাজেট।

 

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৪.২ শতাংশ এবং চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে চার দশমিক ছয় শতাংশ।এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

 

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

 

স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। তিনি স্পিকারের অনুমতি নিয়ে আজ বিকাল ৩ টা ৪ মিনিটে আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন।

 

মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে এবং রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ফ্যামিলি কার্ড, ওএমএস ইত্যাদি কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। আমাদের গৃহীত এসব নীতিকৌশলের ফলে আমরা আশা করছি যে- আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।’

 

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার কর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই আয় আসবে মূলত আয়কর, ভ্যাট এবং আমদানি ও রফতানি শুল্ক থেকে। অন্যান্য উৎস থেকে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রাক্কলিত রাজস্ব আয় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯.৭ শতাংশ।

 

বাজেট বক্তব্যে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রাজস্বের পরিমাণ জিডিপির ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, করজাল স¤প্রসারণ এবং কর আদায় ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন এবং হিউম্যান ইন্টারফেস কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

 

এদিকে, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এই ঘাটতি ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের অর্থে মেটানো হবে।

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমেছে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি এবং জ্বালানি খাতে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বরাদ্দ কমেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে।

 

এদিকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনায় এর উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গ্রিড যুগোপযোগী করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম হিসেবে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ) উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। এতে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট আওয়ার থেকে বেড়ে ৬০২ কিলোওয়াট আওয়ারে উন্নীত হয়েছে।

 

বিগত ১৫ বছরে মোট সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ১৫ হাজার ২৪৬ সার্কিট-কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। মোট বিতরণ লাইনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৩ হাজার কিলোমিটার।

 

বিদ্যুতের বিতরণ সিস্টেম লস ২০০৯ সালের ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে পাশের দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

ভারতের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

 

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে জ্বালানি তেলের মজুতক্ষমতা ৪৫ দিনের পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ৬০ দিনে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

 

দেশে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উলে­খ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বেড়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ১০০০ থেকে ১০৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

 

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলিত কয়লা বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাস দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানির ৫৪ থেকে ৫৯ শতাংশ পূরণ করে থাকে।

 

বর্তমানে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৯, যার মধ্যে ২০টি উৎপাদনে রয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে অনশোর এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য বাপেক্স কর্তৃক পেট্রোবাংলার আওতায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

বিদ্যুতের মিটার ও সুইচ-সকেটের দাম বাড়ছে
আগামী অর্থবছরে বৈদ্যুতিক মিটার ও সুইচ-সকেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সাধারণ কিলোওয়াট মিটার ও প্রি-পেইড কিলোওয়াট আওয়ার মিটারের শুল্কহার সমান নয়। এ বিবেচনায় প্রি-পেইড কিলোওয়াট আওয়ার মিটার ও অন্যান্য ইলেকট্রিক মিটারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ অর্থাৎ সাধারণ মিটারের সমান করার প্রস্তাব করেন তিনি। এ ছাড়া প্রি-পেইড কিলোওয়াট মিটার পার্টস ও অন্যান্য ইলেকট্রিক মিটার পার্টসের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এতে বাড়বে বৈদ্যুতিক মিটারের দাম।

 

বাড়ানো হতে পারে বিদ্যুতের সুইচ-সকেটের দাম। দেশে বিদ্যুতের সুইচ-সকেট উৎপাদিত হচ্ছে উলে­খ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তৈরি সুইচ-সকেটের ন্যূনতম আমদানি মূল্য প্রকৃত আন্তর্জাতিক মূল্যের চেয়ে কম নির্ধারিত থাকায় স্থানীয় শিল্প অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে সুইচ-সকেটের পার্টসের প্রতি কেজির ন্যূনতম মূল্য সাড়ে ৪ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬ ডলার, সুইচের ন্যূনতম মূল্য ৬ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮ ডলার এবং সকেটের ন্যূনতম মূল্য ৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮ ডলার নির্ধারণ করেন অর্থমন্ত্রী।

 

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৩৩৫৬ কোটি টাকা
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য সেবা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট প্রস্তাবিত বাজেটের পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ। গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। গত বছর ছিল মোট বাজেটের পাঁচ শতাংশ ছিল।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণের অব্যাহত অগ্রগতি বজায় রাখার নিমিত্তে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা।

 

আগামী প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ৩০ হাজার ১২৫ কোটি এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ১১ হাজার ২৮৩ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি লাখে ৩৫১ যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১৩৬ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬০, যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ৩৩-এ নেমে এসেছে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২০০৭ সালে ছিল ৬৬.৬, যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৩ এ উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের স¤প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এক বছর বয়সের নিচের শিশুর পূর্ণ টিকা প্রাপ্তির হার ৭৫ শতাংশ থেকে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

 

এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।
বিদেশ থেকে বিনাশুল্কে আনা যাবেনা নতুন ফোন

 

বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালার অধীনে একজন যাত্রী শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়া দু’টি নতুন মোবাইল ফোন বিদেশ থেকে আনতে পারেতেন। কিন্তু এ সুবিধা আর থাকছে না। এখন থেকে ব্যবহৃত দুইটি ফোন বিনা শুল্ক-কর পরিশোধ করে এবং একটি নতুন ফোন শুল্ক পরিশোধ করে আনতে পারবেন বিদেশফেরত যাত্রীরা।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালায় বিধি (৩) এর উপবিধি (৫) এ উলি­খিত বিধানে দুটি মোবাইল ফোন সকল প্রকার শুল্ক-কর পরিশোধ ব্যতিরেকে খালাসের পরিবর্তে ব্যবহৃত সর্বোচ্চ দুটি মোবাইল ফোন সকল প্রকার শুল্ক-কর পরিশোধ ব্যতিরেকে খালাসের বিধান এবং শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে ১টি নতুন মোবাইল ফোন আমদানি করার বিধান প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করছি।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন