প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক : ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেটের আট উপজেলার পর এবার বন্যার পানি প্রবেশ করেছে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায়। এমন পরিস্থিতি পরিবার নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন বন্যাকবলিত মানুষজন।
আজ শুক্রবার (৩১ মে) সকাল থেকে সুুরমা নদীর পানি ডুকতে শুরু করে নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত উপশহর সি-ব্লক, ডি-ব্লক ও ই-ব্লক একাংশ, যতরপুর, তোপখানা, মাছিমপুর, সোবহানীঘাট, তালতলা ও শেখঘাট ও কাজিরবাজার এলাকায়।
এরমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই পানি ডুকে তালতলাস্থ সিলেট ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানি ওঠার কারণে এ স্টেশন থেকে মেশিনারিজ ২৭ নং ওয়ার্ডের আলমপুর স্টেশনে নিয়ে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকা উপশহর, যতরপুর, তোপখানা, মাছিমপুর ও সোবহানীঘাট এলাকার সড়ক ও বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদে পানি প্রবেশ করে। এতে বিপাকে পড়েন নগরের বাসিন্দারা। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নেন।
এদিকে নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠেছে কয়েকটি পরিবার। একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনীর ৪০টি পরিবার, পাশ্ববর্তী ২৯নং বাসায়ও আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর সিলেটভিউকে বলেন, নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে উঠতে শুরু করেছেন।

তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী প্রেরণ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় উদ্ধারকাজের জন্য নৌকার ব্যবস্থা, নিম্নাঞ্চলের বিদ্যুৎকেন্দ্র, উপ-কেন্দ্রগুলো বন্যার পানিতে যাতে ডুবে না যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত সিলেটের নদ নদীগুলির তিনটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক দুর্গত এলাকাগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২শ মি.মি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন যা ছিলো সাড়ে ৬শ মি.মি। ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ভারী বৃষ্টি ও হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজারে ও গোলাপগঞ্জে। তবে এই তিনটিতে ভয়াবহতা এখনো তীব্র হয়নি।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest