ইভটিজিংয়ের ভয়ে ছাত্রী বেঞ্চের নিচে, শিক্ষকের ২ হাত ভাঙল কিশোর গ্যাং

প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, মে ৭, ২০২৪

ইভটিজিংয়ের ভয়ে ছাত্রী বেঞ্চের নিচে, শিক্ষকের ২ হাত ভাঙল কিশোর গ্যাং

অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে কিশোর গ্যাং। ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো. হাসান (৩৪)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক।

 

রোববার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনাবাজারের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই দিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে এ ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে।

 

হামলাকারী মো. রাজু (২৪) ও আবু নোমান (২৫) ওই মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা।

 

মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মো. শহিদ উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বহিরাগত রাজু মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর তিনি মাদ্রাসার ছাত্র নোমানের সহযোগিতায় ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেন। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণিকক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। খবর পেয়ে মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল এগিয়ে এলে রাজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদ্রাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করেন। তাৎক্ষণিক একই মাদ্রাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে ইভটিজারদের বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে বিকাল ৫টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সদস্য তার গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষক হাসানের ওপর হামলা চালায়। তখন হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে বেধড়ক পেটায়। এতে তার দুই হাত ভেঙে যায়।

 

হামলার শিকার শিক্ষকের শাশুড়ি বিবি খাদিজা ও শ্বশুর মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা এ হামলা চালায়। বর্তমানে হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডা. আবদুর রহমান বলেন, তার একটি হাতে অপারেশন করে পাত বসানো হয়েছে। অন্য একটি হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। তার দুটি হাত ভেঙে গেছে।

 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবারকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।