বৃষ্টির পর পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২৪

বৃষ্টির পর পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

পানিতে তলিয়ে গেছে হাজারো হেক্টর জমির বোরো ফসল। ছবি: সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক : দেশে যখন তাপদাহ চলছে, তখন সিলেটে একের পর এক বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পর এবার পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সীমান্তবতী সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ফ্ল্যাস বন্যার কারণে উপজেলার সারী, বড় নয়াগং ও রাংপানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

 

বন্যা প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে- উপজেলার নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ি ও নলজুরী হাওর।

 

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজারো হেক্টর জমির বোরো ফসল। পানির মধ্যেও কৃষকদের ধান কাটতে দেখা গেছে। ধান কাটার পর তারা নৌকাযোগে বাড়িতে ধান নিয়ে যাচ্ছিলেন।

 

সারী-গোয়াইন বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ফ্ল্যাস বন্যার পানি নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যাবে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া জানিয়েছেন, প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। যাতে কৃষকদের ধান কাটতে সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে।

 

প্রসঙ্গত, গত মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল যখন তাপদাহে পুড়ে, তখন সিলেট অঞ্চলের গরম সহনীয় ছিল। এ অঞ্চলের তাপমাত্রা একদিন ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি ছিল। অন্যান্য দিন তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি অতিক্রম করেনি।

 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চল ভারতের চেরাপুঞ্জির পাদদেশে হওয়ায় বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে নদী, হাওর ও পাহাড়ের অবস্থানের কারণে আবহাওয়া সহনশীল। ভৌগলিক কারণে সিলেটের আবহাওয়ার অবস্থা ভালো বলে জানান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুস্তাক আহমদ।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন