স্বামীর কটূক্তি সহ্য করতে না পেরেই হালিমার আত্মহ’ত্যা

প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪

স্বামীর কটূক্তি সহ্য করতে না পেরেই হালিমার আত্মহ’ত্যা

নিউজ ডেস্ক : স্ত্রীর গায়ের রঙ সৌন্দর্য নিয়ে স্বামীর কটূক্তি সহ্য করতে না পেরেই সিলেটের খাদিমনগরের ঘোড়ামারা এলাকায় হালিমা আক্তার (২৪) নামে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। সম্প্রতি সংস্থাটি এ মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করেছে।

 

এ ঘটনায় মৃতের স্বামী নুর উদ্দিনকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত করে শিগগিরই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

 

তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট জেলা পিবিআই’র এসআই ঝলক মোহন্ত জানান, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হালিমার সঙ্গে ২০২০ সালে পারিবারিকভাবে নুর উদ্দিনের বিয়ে হয়। শুরু থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। স্ত্রীর গায়ের রঙ ও সৌন্দর্য নিয়ে প্রায়ই তিনি কটূক্তি করতেন। তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। নুরকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করতেন তাঁর বাড়ির লোকজন। অনেক সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। তবে নুর কিছুদিন শান্ত থাকলেও ফের বিবাদে জড়াতেন। আজেবাজে কথা বলে স্ত্রীকে অপমান করতেন। সর্বশেষ ঘটনার কিছুদিন আগে নুরের একটি স্বর্ণের আংটি চুরি হয়। এ জন্য তিনি স্ত্রীকে অভিযুক্ত করেন। অবিলম্বে চুরি করা আংটি ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে প্রচণ্ড অপমানিত বোধ করেন হালিমা। এরপর ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি শোবার ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।

 

তদন্ত সূত্র জানায়, হালিমার মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক সৈয়দ নাহিয়ান মাহমুদ মীম মত দেন, গলায় ফাঁসের ফলে শ্বাসরোধে তাঁর মৃত্যু হয়। অর্থাৎ তিনি আত্মহত্যা করেন। তদন্তে এর কারণ হিসেবে বেরিয়ে এসেছে স্বামীর প্রতিনিয়ত গঞ্জনা-অপমানের কথা।

 

হালিমার মা দিলারা বেগমের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের গায়ের রং কালো বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের পাশাপাশি বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে জামাতা। বারবার বলা হয়, ওই টাকা পেলে সে হালিমার সঙ্গে সংসার করবে। তবে দিলারা সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। তাঁর স্বামী আবদুল জলিলও বেঁচে নেই। ফলে ওই পরিমাণ টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে তাঁর মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। এরপরই তাঁর মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

 

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। আর মামলায় নুর উদ্দিন ছাড়াও তাঁর ভাই সফর উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিনকে আসামি করা হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। তারা মূল অভিযুক্ত নুরের ভাই হওয়ায় আসামি করা হয়েছে। বাদীও তাদের আত্মহত্যায় প্ররোচনার তেমন কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন