উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,“উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না।”

 

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্যাংশনের ভয় দেখানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে চেয়েছে বিএনপি। সঙ্গে ছিল বিদেশি প্রভু। সমালোচকরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি।

 

আওয়ামী লীগের আমলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে আহ্বান জানাই। এছাড়া মজুতদারি ও চাঁদাবাজিতে দ্রব্যের দাম যেন না বাড়ে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।”

 

সকাল পৌনে ১০টায় গণভবনে এই বিশেষ সভা শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে সারাদেশ থেকে আসা নেতারা গণভবনের সামনে জড়ো হন এবং সাড়ে ৮টা থেকেই এক এক করে নেতারা গণভবনে প্রবেশ শুরু করেন।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ভোটার যেন না আসে, নির্বাচনটা যাতে অবাধ না হয়, নির্বাচনই যেন হতে না পারে, সেই চেষ্টা ছিল; যাতে নির্বাচন হওয়ার পরে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় যে এই নির্বাচন অবাধ ‍ও সুষ্ঠু হয়নি। কাজেই নিষেধাজ্ঞা দাও, ওইটা দাও। আমাদের যখন বলেছিল নিষেধাজ্ঞা দেবে, তখন আমিও বলেছিলাম, দরকার হলে আমরাও নিষেধাজ্ঞা দেব, আমরাও দিতে পারি। আমি নিষেধাজ্ঞার রীতিনীতি জানি বলেই বলেছিলাম।’

 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এত কথার মধ্যে আমাদের দেশটা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে লক্ষ
রেখে এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ, প্রতিপক্ষ থাকুক, নির্বাচনে
প্রতিযোগিতা হোক, ভোটার আসবে, নিজেদের পছন্দমতো ভোট দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে,
সেই অধিকারটুকু জনগণ পাক। সেইভাবে নির্বাচন করেছি বলেই আজকে নির্বাচনকে
প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। অনেকেই বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করতে
পারছে না। এই কথাটা আমাদের নেতা-কর্মীদের মাথায় রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে।’

 

সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা-মহানগর ও উপজেলা-থানা-পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য এবং জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।