পাঠানটুলায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৪

পাঠানটুলায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড  ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক  তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট মহানগরের পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রবিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্র জানায়, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) শ্রমিকরা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার একটি মেশিনের কাছেই গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন জ্বলে উঠে।

 

সঙ্গে সঙ্গে সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তালতলা স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে ফুয়েলিং স্টেশনটিতে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন কর্মচারীরা। এসময় সিসিকের পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হন এবং ফুয়েলিং স্টেশনের এক কর্মচারী জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।

 

দগ্ধরা হলেন- সিলেট মহানগরের ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার মো. জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মো. মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মতি মিয়া (৬০) ও রজনী চন্দ দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।

 

সিলেট তালতলা স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার সিলেটভিউ-কে বলেন- খবর পাওয়ামাত্র আমাদের একটি ইউনিট সেখানে যায়। তবে আমাদের কর্মীরা যাওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এ বিষয়ে নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

এদিকে, দগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মেয়র সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১১ নং ওয়ার্ডে তাদের দেখতে যান। এসময় তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দগ্ধদের শারীরিক খোঁজ-খবর নেন। এসময় মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশন দেন।