প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক :: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যার সময় অভিযুক্ত খুনি উল্লাস করছেন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও তোলপাড় সৃষ্টি করেছে স্থানীয়দের মধ্য।
সোমবার বেলা একটার দিকে উপজেলার গয়েশপুর বাজারে প্রকাশ্যে হারুনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর অভিযুক্ত রুবেল মিয়াও গণপিটুনির শিকার হন।
কুপিয়ে হত্যার ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হারুন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। অভিযুক্ত রুবেল একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কোপাচ্ছেন। এরপর দুই হাত ওপরে তুলে উল্লাস প্রকাশ করেন। এরপর আরও দুটি কোপ দেন।
হারুন পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামে। তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে গয়েশপুর বাজারে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালনা করতেন। হত্যায় অভিযুক্ত রুবেল মিয়ার বাড়ি একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামে। রুবেল মিয়া নিয়মিত গ্রামে থাকতেন না। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত রুবেল মিয়া কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। এ ছাড়া এলাকায় মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।
এ ঘটনায় রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহম্মদ দীপ্ত জানান, আমার বাবাকে সন্ত্রাসী রুবেল কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে গয়েশপুর বাজারে দা নিয়ে উল্লাস করেছে। আমি হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানান তিনি।
পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, নিহত হারুন অর রশিদ ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তিনি গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। ঘাতক রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, এ হত্যার কারণ সম্পর্কে রুবেল মিয়ার মা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, তবে সেটি এখনি প্রকাশ করবেন না তারা। রুবেল মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। যে কারণে হত্যার সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি তাৎক্ষণিক ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী পৈশাচিকতার আরেকটি বর্বর দৃষ্টান্ত-বিএনপি : ময়মনসিংহের পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির আহ্বান জানিয়েছে দলটি। সোমবার এক বিবৃতিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যা দেশজুড়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী পৈশাচিকতার আরেকটি বর্বর দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগ যে মানবিকবোধশূন্য রাজনৈতিক দল, এর বহিঃপ্রকাশ ঘটল তাকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার মাধ্যমে। হত্যা, গুমের সংস্কৃতি তৈরি করে আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চাচ্ছে। দেশে রক্তাক্ত জনপদ ছাড়া জনগণকে তারা আর কিছুই দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠানের পর জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদী জনগণকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য গ্রামগঞ্জ-শহর-নগরে রক্ত ঝরাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নানা এজেন্ডার মধ্যে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা একটি অন্যতম এজেন্ডা। ভোটারশূন্য নির্বাচন করে তাদের ফ্যাসিবাদী চেহারা আরও হিংস্ররূপ ধারণ করেছে। এর সর্বশেষ শিকার হলেন আওয়ামী সন্ত্রাসী রুবেল কর্তৃক ডা. হারুন অর রশিদকে হত্যা। তবে এভাবে হত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে আওয়ামী লীগ আর টিকে থাকতে পারবে না, প্রতিটি নির্মমতা ও হত্যাকাণ্ডের জবাব জনগণ একদিন কড়ায় গণ্ডায় আদায় করে নেবে।’
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest