সিলেটে ২৮ বছর পর আ.লীগ নেতা মন্ত্রিসভায়

প্রকাশিত: ১:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৪

সিলেটে ২৮ বছর পর আ.লীগ নেতা মন্ত্রিসভায়

নিউজ ডেস্ক : মন্ত্রিসভায় ডাক পেয়েছেন সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের নব-নির্বাচিত এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। ২৮ বছর পর আবারও সিলেটের তৃণমূলের কোনো রাজনীতিবিদ মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ তার নির্বাচনী আসনের সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

 

সর্বশেষ সিলেট বিভাগের পদধারী নেতা হিসেবে আওয়ামী সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ ও দেওয়ান ফরিদ গাজী। এর পরবর্তী মন্ত্রিসভায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বেশকয়েজন মন্ত্রী থাকলেও তারা কেউই আওয়ামী তৃণমূল রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। ২৮ বছর পর সিলেটের স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতা হিসেবে সরকারের মন্ত্রী সভায় জায়গা করে নিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।

 

এই প্রাপ্তির আগে গত রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে ১০ বছর পর ডুবানো নৌকা ভাসিয়েছেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। গত বুধবার শপথ গ্রহণ করেন তিনি। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি মন্ত্রিসভায় পদ পাওয়ার সুখবর পান।

 

সিলেটের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৭৫ পরবর্তী মন্ত্রিসভায় সিলেট বিভাগের কোনো পদধারী নেতা মন্ত্রিসভায় যেতে পারেননি। এর পরবর্তী যারা মন্ত্রী হয়েছেন তাদের কেউই স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। অনেকেই এমপি মন্ত্রী হওয়ার পর যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগে। তাই শফিকুর রহমান চৌধুরী মন্ত্রিসভায় যুক্ত হওয়ায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত।

 

এর আগে গত দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের সমঝোতার বলি হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। তবে কখনোই তিনি আওয়ামী বিদ্রোহী হননি। দলীয় প্রধানের নির্দেশ মেনে গত দশ বছর ধরে তিনি এমপি না হয়েও আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েছিলেন তৃণমূলের জনগণের পাশে। যার ফলাফল হিসেবে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই পেলেন প্রতিমন্ত্রীর পদ।

 

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শফিক ভাই ৭৫ পরবর্তী ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন। উনার নেতৃত্বে আমরা ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে গিয়েছি। উনার একটি জিপ ছিল। এই জিপ নিয়ে আমরা এমসি কলেজ, সরকারি মদনমোহন কলেজ, মেডিকেল কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজে গিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি করেছি। তার মতো ত্যাগী নেতাকে প্রধানমন্ত্রী মূল্যায়ন করেছেন, তাই আমরা আওয়ামী পরিবারের সবাই খুশি।

 

সিলেটে তৃণমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা শফিকুর রহমান চৌধুরী দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগে কাজ করার পর শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রবাসের মায়া ত্যাগ করে ২০০৮ সালে সিলেটের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরের বছরেই ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সে সময়ের প্রভাবশালী নেতা এম ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি বেশ সরব ছিলেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতির পর বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় নেতাকর্মীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বিচরণ ছিল তার। তাই ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন