শ্যাম্পু ব্যবহারের নিয়মকানুন

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২১

শ্যাম্পু ব্যবহারের নিয়মকানুন

চুলে জমা তেল-ময়লা পরিষ্কারের জন্য শ্যাম্পুর বিকল্প নেই। তবে যেনতেনভাবে শ্যাম্পু করলে হবে না। মানতে হবে কিছু নিয়ম।

শ্যাম্পু করার আগে জানতে হবে, আপনার চুলের ধরন কী রকম। আমাদের কারও চুল তৈলাক্ত, কারওটা শুষ্ক আবার কারওটা মিশ্র ধরনের। কারও কারও চুলে থাকে খুশকি।

চুলের ধরন অনুসারে শ্যাম্পু পাওয়া যায়। আপনাকে চুলের ধরণ নির্নয় করে শ্যাম্পু সংগ্রহ করতে হবে। খুশকি আক্রান্ত চুলের জন্য প্রয়োজন হবে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু। এক ধরনের চুলে অন্য ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই। তবে তাতে কোনো উপকারও নেই।

শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। এতে চুলের জট ছেড়ে যাবে। লেগে থাকা ধুলোও পড়ে যাবে। তবে জট ছাড়ানোর সময় শক্তিপ্রয়োগ করা যাবে না। তাতে চুল ছিঁড়ে যেতে পারে।

শ্যাম্পুর শুরুতেই মাথার তালু থেকে চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে। তাতে চুল নরম ও কোমল হবে।

একটি বাটিতে শ্যাম্পুর সঙ্গে পানি মিশিয়ে শ্যাম্পুর ঘনত্ব কমিয়ে নিতে হবে। এই ধরনের শ্যাম্পু চুলের গোড়ায় সহজে পৌঁছতে পারে।

শ্যাম্পু দেয়া মাথার ত্বকে ১৫ মিনিট আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে প্রতিটি চুলের গোড়ায় শ্যাম্পু পৌঁছাবে। যে ফেনাগুলো তৈরি হবে সেগুলো হাত দিয়ে চুলে ছড়িয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলের সব অংশে ফেনা পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

দ্বিতীয় দফার শ্যাম্পু কারার জন্য পানি দিয়ে শ্যাম্পু পাতলা করার দরকার নেই। করতে হবে না ম্যাসাজও। কারণ, ম্যাসাজের ফলে চুলের গোড়া থেকে সিবাম নামের একধরনের তেল নির্গত হয়। অতিরিক্ত সিবাম বের হতে থাকলে শ্যাম্পু করে লাভ নেই। তাই চুল ম্যাসাজ করতে হয় একবার।

দ্বিতীয় দফায় মাথার তালুতে সরাসরি শ্যাম্পু দিন। ঘষে ফেনা তৈরি করুন। পাঁচ মিনিট পরে হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

শাওয়ার থেকে বেরিয়ে মোটা তোয়ালে জড়িয়ে চুলের পানি মুছে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা হাওয়ায় চুল শুকিয়ে নিলেই চলবে।

 

যা করা বারণ

শ্যাম্পু করার আগে আমরা অনেকেই মাথায় তেল দিই। এমনিতে এটা করলে সমস্যা নেই। তবে ময়লা চুলে তেল দেওয়া যাবে না। চুল ভাল করে না ভিজিয়ে সরাসরি শ্যাম্পুও করা যাবে না। মাথা জোরে জোরে ঘষে ময়লা পরিষ্কারের চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে চুল উঠে যাবার সম্ভাবনা থাকে। কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় নয়, শুধু আগায় ব্যবহার করতে হবে।

চুল ধোয়া শেষে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে মাথা জোরে জোরে ঘষে মোছা উচিত নয়। ভেজা চুল আঁচড়ানোও উচিত নয়।