আ.লীগের ৩০ এপ্রিলের সভায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

আ.লীগের ৩০ এপ্রিলের সভায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ৩০ এপ্রিল। এই সভার দিকে নজর সবার। এতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে যেসব মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা অংশ নিচ্ছেন তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এছাড়া সাংগঠনিক বেশ কিছু বিষয়ে চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, এবারের সভায় ১৬টি এজেন্ডা রেখেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচি। মূলত সভায় গুরুত্ব পাবে সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সাংগঠনিক ও বিবিধ।

 

জানা যায়, আওয়ামী লীগের কঠোর নির্দেশনার পরও আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের প্রায় সবাই উপজেলার ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন। এছাড়া পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলোয়ও মাঠে আছেন আরও অনেকেই। এমপি ও তাদের স্বজনরা নানা যুক্তি সামনে আনছেন। এতে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। নির্দেশনা অমান্য করা এমপি-মন্ত্রী এবং তাদের স্বজনদের তালিকা তৈরি করছেন তারা। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সাংগঠনিক সম্পাদকরা রিপোর্টে এ তালিকা তুলে ধরবেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের অন্তত তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক যুগান্তরকে বলেন, দলের নির্দেশনা অমান্য করে যেসব এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো তারা ৩০ এপ্রিল দলীয় সভাপতির সামনে উপস্থাপন করবেন। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে যে নির্দেশনা দেবেন, সেই মোতাবেক তারা তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের বিষয়ে দলীয় এ সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাচনের চার পর্বের জন্যই প্রযোজ্য হবে। তবে এমপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা এবং তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধেই বা কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এখনো পরিষ্কার করা হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তদের তরফ থেকে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মধ্যেও আছে ভিন্ন ভিন্ন মত।

 

এছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা এবং সংসদ-সদস্যের স্বজন নির্দেশনা অমান্য করে ভোটে লড়ছেন। তাদের বিষয়ে দলীয় সভাপতির নির্দেশনা বা বক্তব্য কী হয়, তাও দেখার অপেক্ষা করছেন অনেকে। এছাড়া পরবর্তী ধাপে নির্বাচনি মাঠে আছেন-এমন অনেকেই তাকিয়ে আছেন প্রথম ধাপে মাঠে থাকাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকে।

 

দলীয় সূত্র বলছে, ক্ষমতাসীন দলের সভায় বিএনপিসহ বিরোধীদের কর্মকাণ্ড এবং কর্মসূচির বিষয়গুলোও আলোচনায় আসতে পারে। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান ও কর্মসূচি সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আওয়ামী লীগ।

 

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় গণভবনে আমাদের দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের বেশকিছু এজেন্ডা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সভায় সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়েও আলোচনা হবে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ নিয়ে তো কথা হবে। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ইতোমধ্যেই বলেছেন। আরও কিছু বিষয় রয়েছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। আমাদের সাংগঠনিক রীতিনীতিতে যেভাবে আছে, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রাজনীতি