হৃদরোগ নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত ও মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য রয়েছে – ডা. জগৎ নরুলা

প্রকাশিত: ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২২

হৃদরোগ নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত ও মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য রয়েছে – ডা. জগৎ নরুলা

নিউজ ডেস্ক : ওয়াল্ড হার্ট ফেডারেশন (ডব্লিউএইচএফ)-এর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডা. জগৎ নরুলা রোববার সকালে এক সংক্ষিপ্ত সফরে সিলেট এসেছিলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান কর্মসূচির মধ্যে ছিল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগ নিরাময়ে যুব সমাজের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সেমিনারে অংশগ্রহণ, সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পরিদর্শন, দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এনসিডিসি কর্ণার এবং তেতলী ইউনিয়নের বলদি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন।

 

সিলেটের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর মৌলিক গবেষণায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী জানুয়ারি ২০২৩ এ ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছি এবং হৃদরোগ নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত ও মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য রয়েছে।

 

ডা. নরুলা, অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে মায়েদের সচেতন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। কারণ এটি দ্রুত তৃণমূলে এর সুবিধা পৌঁছাতে সহায়তা করে।

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সহ সভাপতি প্রফেসর ডা. সুধাংশু রঞ্জন দে, সহ সভাপতি এমএ করিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মোঃ আমিনুর রহমান লস্কর, ট্রেজারার জামিল আহমদ চৌধুরী, পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবু তালেব মুরাদ, কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. রেজাউল করিম, আব্দুল মালিক জাকা, হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. মোঃ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ডা. শামীম জুবায়ের, বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এহসানুল আমিন ইমন, ও বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার ডা. শাহীনুল ইসলাম।

 

ওয়াল্ড হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ডা. জগৎ নরুলা সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে পৌঁছানোর পর হাসপাতালের প্রজেক্টরের মাধ্যমে হাসপাতালের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিইও কর্নেল (অব.) শাহ আবিদুর রহমান।

 

এছাড়াও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈনুল আহসান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুবাইয়া আহমেদ ও উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সালমান মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় ৫০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ, যার মধ্যে ১৭ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী হৃদরোগ।