সিলেটে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দুর্গাপূজা

প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৩

সিলেটে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দুর্গাপূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সানতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হলো আজ মঙ্গলবার।

 

প্রতি বছর পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে চাঁদনীঘাটেই বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এবারও তাই হচ্ছে।

 

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে মণ্ডপগুলোতে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। হিন্দু সধবা নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন, নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান।

 

মঙ্গলবার বিকেল থেকে সিলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। মহানগরীর চাঁদনীঘাটে উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও নবনির্বাচিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

 

দুপুর থেকেই পূজামণ্ডপগুলো এক এক করে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রায় শুরু হয়। শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চাঁদনীঘাটে তীরে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে সুরমা নদীর তীরে চাঁদনীঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করেন।

 

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
হিন্দু পূরাণমতে, দুর্গাপূজার সঠিক সময় হলো বসন্তকাল। কিন্তু বিপাকে পড়ে রামচন্দ্র, রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবিকে অসময়ে জাগ্রত করে পূজা করেন। সেই থেকে অকাল বোধন হওয়া সত্ত্বেও শরতকালে দুর্গাপূজা প্রচলিত হয়ে যায়।

 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দিনপঞ্জিকা অনুসারে এ বছর দুর্গাদেবী স্বামীর ঘর স্বর্গ ছেড়ে মর্ত্যে পিতৃগৃহে পদার্পণ করছেন ঘোটকে চড়ে। দুর্গাদেবী ভক্তদের কাঁদিয়ে ঘোটকে চড়ে মর্ত্যলোক ছেড়ে চলে গেলেন কৈলাসে।

 

 

কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

 

এবার সিলেট জেলার ৬১৭টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ৫৬৯টি, পারিবারিক ৪৮টি পূজোর আয়োজন হবে। মহানগরীতে ১৫১টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৪টি ও পারিবারিক ১৭টি। জেলায় ৪৬৬টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ৪৩৫টি ও পারিবারিক ৩১টি।