প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২ হাজার ১০৩টিতে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটকেন্দ্র পাঁচ শতাংশের মতো বাড়ছে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর যে দাবি-আপত্তি এসেছিল, সেগুলো শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্রে সংখ্যা হয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।
গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয়েছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ছিল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর)। আর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ৪২ হাজার ৩৫০টির মতো ভোটকেন্দ্র রেখেছিল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কমিটি। সেখানে ভোটকক্ষ রাখা হয়েছিল দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টির মতো। শুনানি শেষে কেন্দ্র টিকল ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজারের মতো।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়। এতে ভোটকক্ষ ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৩১২টি।
সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ চার হাজার ৮৭৯ জন। হিজড়া ভোটার ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ বিষয়ে বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে আমাদের কমিটি যে কেন্দ্রের তালিকা পাঠিয়েছে, তা এখন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে। কমিশন এই তালিকার ওপর যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেই তালিকাই হবে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা।
নির্বাচন কমিশন ভোটের প্রস্তুতি বেশ জোরেশোরে এগিয়ে নিচ্ছে। একদিকে চলছে নির্বাচনী উপকরণ কেনার কার্যক্রম। অন্যদিকে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুতের কাজও চলছে।
মাঠ পর্যায়ে পাঠানো ইসির এক নির্দেশনায় জানা গেছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানাভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য পাঠানো হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।
এরপর উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের পর আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest