প্রকাশিত: ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
অনলাইন ডেস্ক : বাসাবাড়িতে এখন ইলেকট্রিক সংযোগ বা যন্ত্রপাতির শেষ নেই। বরং যতই দিন যাচ্ছে তা আরও বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে কারেন্টের তারের প্যাঁচ। আর এক্ষেত্রে সামান্য অসাবধানতায় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সুতরাং ইলেকট্রিক দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানা থাকা খুব জরুরি।
একটু সচেতনতা অনেক সময় বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কারেন্টের শক খেলে দ্রুত যা করতে হবে।
* ইলেকট্রিক শক খেলে আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি গভীর শ্বাস নিন এবং পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন।
* কেউ কারেন্টে শক হলে প্রথমেই তার গায়ে হাত দিতে যাবেন না। তাকে তো বাঁচাতে পারবেনই না, বরং আপনিও একই সঙ্গে বৈদ্যুতিকস্পৃষ্ট হবেন।
* প্রথমেই কারেন্টের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করুন। যদি এতে কাজ না হয় তাহলে শুকনো খবরের কাগজ, উলের কাপড়, শুকনো কাঠের টুকরা অথবা রাবার দিয়ে ইলেকট্রিক শক খাওয়া ব্যক্তিকে থেকে ধাক্কা দিয়ে ইলেকট্রিক শকের উৎস থেকে আলাদা করতে হবে। যদি কিছুতেই কাজ না হয়, তাহলে দ্রুত বৈদ্যুতিক অফিসে খবর দিন।
* শক খাওয়া ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়ার ব্যবস্থা করুন। এমন জরুরি মুহূর্তে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ওপর আক্রান্ত ব্যক্তির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নির্ভর করে। একই সঙ্গে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থাও করুন।
* বিদ্যুৎ থেকে মুক্তি পেলেও অনেক সময় ব্যক্তির শ্বাসপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তেমন হলে বুকের উপর জোরে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র চালু করুন।এছাড়া রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
* যদি শক খাবার পরও শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে তবে খুব বেশি ভয়ের কিছু নেই। রোগীকে শুয়ে থাকতে বলুন এবং পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারকে খবর দিন।
সচেতন থাকুন
ইলেকট্রিক সামগ্রী অনেক সময় ভেতর নষ্ট বা ডেমেজড হয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে বিপজ্জনক হতে পারে, যার ফলে দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই হন। এই ক্ষেত্রে নিয়মিত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি একজন দক্ষ মেকানিক দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে রাখাটা জরুরি। এ ছাড়াও হুট করে কখন ইলেকট্রিক যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায় তা বলা কঠিন।
বিদ্যুতের কাজ করার সময় মেন সুইচ বন্ধ করে নিন আগেই। পায়ে রাবারের জুতো দিয়ে বিদ্যুতের কাজ সারুন, খালি পায়ে এমন কাজে না হাত দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া কোনোভাবেই পানি হাতে বাড়ির বৈদ্যুতিক সুইচে হাত দেবেন না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest