বিয়ে না করে সন্তান জন্মদান, মিলেনি স্বীকৃতি

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩

বিয়ে না করে সন্তান জন্মদান, মিলেনি স্বীকৃতি

নিউজ ডেস্ক : সিলেটের ওসমানীনগরে পুজার ফুল তুলতে গিয়ে সকালবেলা ‘ধর্ষণ’র শিকার হয়েছিলেন সনাতন ধর্মালম্বী ১৭ বছরের এক কিশোরী। পরে ‘ধর্ষক’ যুবক ‘বিয়ের প্রলোভনে’ তার সঙ্গে আরও কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

 

এক পর্যায়ে গর্ভবতী হন ওই কিশোরী। জন্ম দেন ছেলেসন্তান। কিন্তু অভিযুক্ত যুবক আর ওই কিশোরীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলেনি, এমনকি সন্তানকেও বঞ্চিত রেখেছে পিতৃপরিচয় থেকে।

 

সম্প্রতি ওই কিশোরী অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে দেড় মাসের শিশুসন্তান জয় লালকে নিয়ে ১৫ ঘন্টা অনশন করেও ছেলেকে পাইয়ে দিতে পারেননি পিতার স্বীকৃতি। পুলিশ বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছে ভুক্তভোগী কিশোরীকে।

 

আলোচিত এই ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও ৪ মাসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

 

থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ অক্টোবরে ভোরে এক কিশোরী পূজার ফুল তুলতে গিয়ে নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের রাখাল দেবের ছেলে সজু কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন। পরবর্তীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে আরও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে সজু। একপর্যায়ে কিশোরী শারীরিক পরিবর্তন ঘটলে বিষয়টি জানাজানি হয়। সজুর পক্ষ হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপংকর দেব নগদ ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কথিত ডাক্তার বাসু দেবের মাধ্যমে ওই কিশোরীর গর্ভপাত ঘটিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করেন।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের লোকজন সালিশে বসলে নির্ধারতি দিনে ইউপি সদস্যসহ সজুর পরিবারের কেউ উপস্থিত হননি। পরে ২ মে থানায় সজুকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন কিশোরীর পিতা। চার দিন পর রাতে মামলার বাদীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কথিত ডাক্তার বাসু দাশের চেম্বারে আটকে রাখা হয়। বাসু দাশসহ অভিযুক্ত সজুর ভাই রঞ্জু দেব, দিপংকর দেব ৫ লক্ষ টাকা গ্রহণের মাধ্যমে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও কিশোরীর গর্ভপাত করাতে চাপ সৃষ্টি করেন।

 

পরে এই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন মামলার বাদী ও নির্যাতিতার পিতা।

 

এসব ঘটনার মধ্যে গত ২৩ জুলাই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই কিশোরী।
হাসপাতাল থেকে ফিরে কিছুদিন বাবার বাড়িতে অবস্থান করে গত বৃহস্পতিবার স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে উঠেন কিশোরী। সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত ওই বাড়িতে অবস্থান নিলেও ঘরের কেউ দরজা না খোলায় স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতি পেতে আত্মহত্যার হুমকি পর্যন্ত দেন কিশোরী।

 

খবর পেয়ে থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলতে না পেরে ওই কিশোরীকে গভীর রাতে শিশুসহ ফের বাবার বাড়িতে পৌছে দেয়।

 

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরীর বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়- শিশুসন্তান নিয়ে একটি ঘরে বসে আছেন তিনি। তবে এতদিন পর্যন্ত অভিযুক্ত সজু গ্রেফতার না হওয়ায় অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন হচ্ছেন বলে জানান তিনি। ওই কিশোরী সজুর স্ত্রী ও ছেলের পিতৃপরিচয় চান।
এদিকে, ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ১৯ জুন ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানায় নির্যাতিতার পরিবার।

 

মামলার বাদী ওই কিশোরীর পিতা জানান, ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গর্ভপাত করাতে নানা কৌশল অবলম্বন করে ব্যর্থ হয় সজু। পরে মামলা দায়ের করলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করছে না। আমার মেয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে অনশনে গেলে পুলিশ তাকে আমার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।

 

ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মাসুদুল আমিন  বলেন, শিশুসহ মেয়েটি বর্তমানে তার বাবার বাড়িতে রয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন