সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়

 

দীর্ঘদিন ধরে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা!অবশেষে আলোর মুখ দেখলো সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি।কিন্তু রহস্যময় রয়ে গেলো উভয় কমিটি।এর মধ্যে সিলেট মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে চলছে সিনিয়র জুনিয়র নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনতার নিজস্ব অভিব্যক্তি।জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটিতে অনেক হাইব্রিড ও ইতিপূর্বে বিভিন্ন দল থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা লোকদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।বিশেষ করে মহানগর যুবলীগের কমিটিতে প্রবাসী লোকদের অন্তর্ভুক্ত ও সিলেট মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়দানকারীকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণকে কেন্দ্র করে চলছে সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া।অনেক ত্যাগী নেতা,বিগত দিনের জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ,যুবলীগের বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদায়নে থাকার পরও সিভি দিয়েও কোনো কাজ হয়নি অর্থাৎ তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি।অনেক জুনিয়র নেতাকর্মী কিংবা বিগত দিনের রাজনীতিতে যাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করণের কারণেও চলছে সমালোচনার ঝড়।ফেসবুক জুড়ে অনেক নেতাকর্মীরা তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করছেন বুক ফুলিয়ে।তুলছেন অভিযোগের পাহাড়।সবার একটাই দাবী,যার যেখানে পদায়ন হওয়ার কথা সেখানে তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি এবং অনেক জুনিয়র নেতাকর্মী সহ হাইব্রিডদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটি গঠন লিস্টে প্রচুর পদ পদবি খালি রাখা হয়েছে,এখানে অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য চলছে দর কষাকষি!ইতিপূর্বে অনেকেই বিনিময় ও মামু ভাগিনার সম্পর্কে কমিটিতে আসছেন আবার কেউ কেউ রহস্যময় কারণে কমিটিতে স্থান পান নাই মর্মে বিভিন্ন ভাবে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ কে মোবাইলে কল দিলে তিনি জানান-যুবলীগ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন ঠিক,কিন্তু এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান,সাদারণ সম্পাদক সহ দায়িত্বশীলরা ভূমিকা নিছেন।কেন্দ্রকে যদি যথাযথ ভাবে তত্ত্বগত সহযোগিতা করা না হয় তাহলে তাঁরা কিভাবে একটি যুগান্তকারী কমিটি উপহার দিবেন!কমিটি গঠনে আমাদের সাথে কেউ সহযোগিতা চান নাই বিধায় আমরাও এই ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারিনি।আমরাও চাই ত্যাগী নেতারা কমিটিতে আসুক এবং দলের জন্য যাদের অবদান নেই তারা বাদ পড়ুক।সর্বোপরি আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে যেনো পারি সেই বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দীন খান বলেন-কমিটি গুলোতে হয়তো কিছু বিতর্কিত লোক ঢুকেছে,কিছু ত্যাগী নেতাকর্মীরা বাদ পড়ছেন।ত্যাগীদের স্থান দিলে আরো ভালো হতো।আমি অসুস্থ তাই আর কিছু বলতে চাচ্ছিনা।এটা যুবলীগের সংশ্লিষ্টদের বিষয়।

 

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ এর মোবাইলে কল দিলে পাওয়া যায় নি।

 

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন কে মোবাইলে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি কমিটির বিষয়ে কোনো কিছু বলতে রাজি নন।

 

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক(প্রথম) এ,টি,এম,এ হাসান জেবুল বলেন-ত্যাগীরা যথাযথ মূল্যায়ন না পেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা যাবেনা।সামনে জাতীয় নির্বাচন,এই মূহুর্তে ত্যাগী নেতাদের অবদান খুবই জরুরি।

 

সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন-কে কি বললো,কে কি লিখলো এসব শুনার ও দেখার সময় আমার নেই।কমিটি বুঝে শুনেই হয়েছে।

 

সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-আমরা সবার নাম দিয়েছি।কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই বাছাই করে কমিটি অনুমোদন করেন।

 

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলা চৌধুরীকে মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করে খুব ব্যস্ত আছি এতো কথা শুনার সময় আমার নেই,পরে কথা বলবো বলে ফোন রেখে দেন।

 

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু-কে বারবার মোবাইলে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা জাকিরুল আলম জাকির বলেন-২০০১ সালে ছাত্রলীগের যারা ত্যাগী নেতা তারা কমিটিতে আসে নাই।যারা আসছে অনেকেই পূর্বে জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।অনেকেই সাবেক ছাত্রনেতা সহ বিভিন্ন নাম পদবী ভূয়া ব্যবহার করে সিভি দিয়েছে তাহা সঠিক তদন্ত হয়নি।যেখানে মোটা অংকের টাকা লেনদেন ও মাই মেন লোক সেটিং করা হয়েছে।সিনিয়র জুনিয়রদের কোন মেনটেইন হয়নি।আমি জাকির রাজপথের লড়াকু সৈনিক,বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ও শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিব কোনো পদ পদবি লাগবেনা আমার।দলের দুঃসময়ে কতইনা কস্ট ও হয়রানি হয়েছি জামায়াত বিএনপির কাছে কিন্তু আজ কি মূল্যায়ন পেলাম?সিলেটের রাজনৈতিক অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ করে কমিটি হলে হয়তো এই সমস্যা হতোনা।বিষয়টি নিয়ে সব কিছুর উর্ধ্বে থেকে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান,সাদারণ সম্পাদক সহ সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের প্রতি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং সেই সাথে কমিটি পুনরায় গঠন করে বাদ বাকি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জোর দাবি জানাই।

 

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নবগঠিত কমিটির উপ-শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া বলেন-আপনারাতো সব দেখতেছেন ও বুঝতেছেন,আপনারা কলম সৈনিক জাতির বিবেক যাহা সত্য পান তাহা তুলে ধরুন।এই মূহুর্তে আমার কোনো মন্তব্য দেওয়া ঠিক না।কমিটি রদবদল হতে পারে,যদি সংশোধন করে কমিটি দেওয়া হয় পরবর্তীতে বক্তব্য দিব।

 

সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে কথা বলতে চাইলে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও নবগঠিত কমিটির উপ-শিক্ষা,প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপন বলেন-দীর্ঘদিন পর কমিটি হওয়াতে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান,সাধারণ সম্পাদক সহ সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই।আমি কি পেলাম না পেলাম এটা দেখার নয়,আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হয়ে প্রায় ২ যুগ ধরে কাজ করছি।সিলেট মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ ও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন।সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটি মেনটেইন করে দিলে ভালো হতো।১৩১ সদস্য কমিটির মধ্যে অনেক পদ পদবি ফিলাপ বাকি রয়েছে।এই কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন সহ হাইব্রিড ও বিভিন্ন দল থেকে উড়ে আসা লোকদের চিহ্নিত করে সুন্দর একটি কমিটি উপহার দেওয়া হোক।

 

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নবগঠিত কমিটির সদস্য মিটু তালুকদার বলেন-যেরকম কমিটি হওয়ার কথা হয়নি,ত্যাগী নেতারা যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন পায়নি।যেভাবে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সেরকম কমিটি হয়নি।হয়তো পরবর্তীতে কমিটি সংশোধন হতে পারে,আপাদত আর কোনো মন্তব্য করতে যাচ্ছিনা।

 

সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলা ও মহানগর প্রতিনিধি,বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নুর আহমদ কামাল বলেন-৯০ দশক থেকে ছাত্র রাজনীতি থেকে বেড়ে উঠা আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান।জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি সন্তুষ্টজনক হয় নাই।সিলেটের বাহিরের লোকদের কমিটিতে আনা হয়েছে।জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অভিভাবকদের পরামর্শ ছাড়াই কমিটি হয়েছে।বাকি পদ পদবি কবে ফিলাপ হবে?ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে হাইব্রিড ও জামায়াত-বিএনপির লোক দারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ও মামু-ভাগ্না সম্পর্কের কারণে অনেকেই কমিটিতে স্থান করে নিলো!এখনও যারা তৈলমর্দনে ব্যস্ত তারাই পাবে কমিটিতে স্থান!জেলা ও মহানগর যুবলীগে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাইনাস করে দেওয়া হয়েছে,আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও দ্রুত কমিটি স্টপ করে একটি যুগান্তকারী কমিটি উপহার দেওয়ার জোর দাবি জানাই।ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের স্বার্থে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির জোর দাবি জানাই।মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অগ্রাধিকার না দিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।

 

সাবেক ছাত্রনেতা নুর মোহাম্মদ বাবু বলেন-আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।রাজপথ স্বাক্ষী ও সিনিয়র নেতারা বলতে পারবেন আমি দুঃসময়ে দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি।মহানগর যুবলীগের কমিটিতে একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে কেন আমাকে বাদ দেয়া হলো আমি জানিনা।কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাদারণ সম্পাদকের কাছে অনুরুধ,বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য।

 

১৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ বলেন-দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে,কিছু সাবেক ছাত্রনেতা ছাড়া বাকী হাইব্রিডদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।মাদক সহ ধরা খাইছে কিন্তু এসকল লোক কিভাবে কমিটিতে আসে?অনেক ত্যাগী নেতারাই বঞ্চিত।সমন্বয় ছাড়া কমিটি করা হয়েছে।মাই মেন,আর্থিক লেনদেন সহ অনেক ব্যবসায়ীদের দিয়ে কমিটি হয়েছে।সিলেটের বহিরাগত ও ২/৩ জন প্রবাসী লোক কিভাবে কমিটিতে স্থান পায় তা বোধগম্য নয়!কেউ কেউ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত তারাও স্থান পায়!মহিলা সম্পাদককে দেখানো হয়েছে সিলেট মহিলা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি কিন্তু অদৌ বিষয়টি সত্য নয়।টাকা লেনদেন ও যার যার নিজস্ব লোক সেটিং করতে এমনি কমিটি।পুনরায় কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

যুবলীগ নেতা দুলাল বলেন-আমি ১/১১ এর সময় নির্যাতিত এবং কট্রোর আওয়ামী পরিবারের সন্তান।আমি রাজনৈতিক ২২ টি মামলার শিকার হয়েছিলাম এবং জামায়াত শিবির আমার দুই হাতের রগ কেটে নেয়।আমি ঢাকায় চিকিৎসা নেই এই বিষয়ে সিনিয়র নেতারা অবগত রয়েছেন।একজন মজলুম ত্যাগী হিসেবে আজ মহানগর যুবলীগে ঠাই পেলাম না।

 

সাবেক ছাত্রনেতা তুফায়েল আহমদ বলেন-বহিরাগত লোক দিয়ে কমিটি গঠন,যে যাকে যত বেশি তেল মারবে সে তত বেশি উপরে উঠবে এটাই বাস্তব সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।যে যার অনুসারী তাকেই উপরে তুলা হয় এতে সে ত্যাগী হোক কিংবা দলের দূর্দিনে কোনো কাজে নাই আসুক।এখানে মামু ভাগিনা ও টাকার খেলা।

 

এছাড়াও আরো অনেক ত্যাগী যুবলীগ নেতা যথাক্রমে দুলাল আহমদ,রায়হান আহমদ,আবির,সৈয়দ আবু নাঈম আজাদ,জিল্লুর রহমান জিলু,দেওয়ান মুরাদ হাসান,আশরাফ,কাদির,টিপু নেতৃবৃন্দ অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলেন-টাকার খেলা রাজনীতির সাথে প্রাধান্য না দিয়ে যোগ্য নেতৃত্বের স্বার্থে সৎ,ত্যাগী ও নিস্টাবানদের অনুসন্ধান করে তৃণমূল পর্যায়ে তদন্ত করে তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হোক।

 

(দ্বিতীয় পর্বের জন্য চোখ রাখুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন)

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন