প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২৩
আব্দুল আলিম শাহ : সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা সমূহের নানা সচেতনতামূল কর্মসূচি বাস্তবায়নের কারণে সিলেট বিভাগে এইচআইভি- এইডস পজিটিভ রোগির সংখ্যা কমেছে। সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা সমূহের এইচআইভি সনাক্তকরণ কর্মসূচির আওতায় এসব রোগি সনাক্ত হয়েছেন। এইডস ধরা পড়া রোগিরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের মধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভারতীয় সিমান্তবর্তি প্রবাসি অধ্যুসিত সিলেট বিভাগে এইচআইভি রোগির সংক্রমন রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও সম্প্রতি কমতে শুরু করেছে এই সংখ্যা। ২০১৯ থেকে জুন-২০২৩ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে সিলেট বিভাগে অঞ্চলে এইচআইভি রোগি সনাক্ত হয়েছেন ১৯৬ জন। এর আগের পাঁচ বছর ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে এ সিলেটে এইডস পজিটিভ রোগি সনাক্ত হয়েছিলেন ৩১০ জন।
সরকারি হিসেব অনুযায়ি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে এইচআইভি পজিটিভ রোগি সনাক্ত হয়েছিলেন ৩৫১ জন। ২০১১ থেকে জুন ২০২৩ সালে এ সংখ্যা দাড়িয়েছে ১১১৮ জনে। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৭ সাল থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত ২০২ জন এবং ২০১৯ সাল থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ২৫ জন রোগি সনাক্ত হন। বাকি ৮৯১ জন এইডস রোগি ১৯৯৮ সাল থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সনাক্ত হন। এর মধ্যে চিকিৎসাধিন আছেন ৬৪৩ জন এবং মৃত্যু বরণ করেন ৪৭৫ জন।
প্রবাসি অধ্যুসিত এবং সীমান্তবর্তি এলাকা হওয়ায় সিলেটে এইডস সংক্রমনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসি শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অব্স্থান করেন এবং ফেরত আসা প্রবাসিদের মাধ্যমে সহজেই এইচআইভি সংক্রমণ হচ্ছে। ভারতের সাথে সীমান্ত থাকায় ভ্রমন সহ ব্যবসা বানিজ্যে সিলেটের মানুষের যাতায়াত বেশি হওয়ায় এই রোগের সংক্রমনের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া সিরিঞ্জ দিয়ে শিরায় মাদক নেওয়া এবং সমকামীতার মাধ্যমেও এইড সংক্রমণ হয়।
তবে বৈশ্বিকভাবে এইচআইভি সংক্রমণ হারের হিসেবে বাংলাদেশে সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশের নিচে রয়েছে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর আগে এইচআইভি-এইডস পরীক্ষা করে নেগিটিভ ফলাফল নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু প্রবাস থেকে দেশে ফেরার সময় এখনও কোন ধরণের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হচ্ছে না। যদি সরকারিভাবে প্রবাস ফেরত নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা যায় তাহলে দেশে নতুন সংক্রমণের হার কমে আসবে।
এইচআইভ-এইডস বিষয়ে সামাজিক সচেতনতার অভাবে এখনও অনেকে লক্ষণ থাকলেও পরিক্ষা করাতে কিংবা চিকিৎসা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। ফলে নিরবে জীবন জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে সেসব ব্যক্তির। পাশাপাশি এইডস সংক্রম হয় বলেও জানান বেসরকারি সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা। এইডস নিমূলে সর্বাবস্থায় প্রচার প্রচারণা ও সবাইকে সচেতন হওয়া এবং সনাক্ত রোগিদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপর জোর দেন তারা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এইডস পরীক্ষা ও চিকিৎসার সব ধরণে সুবিধা প্রদান করছে। চিকিৎসা নেয়া রোগির ৯০ শতাংশের শরীরের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগিদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সেবা প্রদান করা হয় বলেন জানান স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধিরা।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest