প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : বিদেশ পাঠানোর আগে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (০২ এপ্রিল) গণভবনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রচুর কর্মী রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন নতুন স্থান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে নতুন কিছু জায়গায় আমরা আমাদের কর্মী পাঠাচ্ছি। আরেকটা হচ্ছে দক্ষ কর্মী আমাদের পাঠাতে হবে।
দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা যদি দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারি, তাহলে আমাদের বিরাট একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে।
দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিদেশে যাচ্ছেন, কাজ করছেন তারা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছেন। কাজেই আমাদের সব সময় এটাই প্রচেষ্টা থাকবে যারা বিদেশ যাবে তারা যেন সঠিকভাবে, সঠিক কর্মসংস্থান নিয়েই যেন যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বিদেশে, যাদের রেমিট্যান্স আমরা পেয়ে থাকি।
বিদেশ যেতে গিয়ে মানুষ যাতে দালাল চক্রের খপ্পরে না পড়ে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কাজের যেমন ব্যবস্থা আছে, মানুষ প্রবাসেও কাজ করবে। কিন্তু কাজ করতে যেয়ে যথাযথভাবে তাদের যেন কর্মসংস্থান হয়, কারো ধোঁকাবাজিতে যেন না পড়ে, এজন্য ব্যাপক প্রচার করা দরকার।
তিনি বলেন, যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভালোভাবে যাচ্ছে তারা ভালো আছে। যারা দালালের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছে তারাই বিপদে পড়ে যাচ্ছে। আবার তাদেরকে আমাদের উদ্ধারও করতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে কীভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা যায়। সেদিকে একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
প্রবাসীরা যাতে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায় সে বিষয়ে উৎসাহিত করতে এবং সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কিন্তু কাজের অভাব নেই এখন। কাজ করলে টাকাও ভালো পাচ্ছে। একজন দিনমজুর আগে যেখানে ২০০/৩০০ টাকা পেতো, এখন সেখানে প্রায় ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত, মানে কাজ হিসেবে। এই ধরনের টাকা কিন্তু দিনমজুররা উপার্জন করছে। একেবারে মিনিমাম ৫০০/৬০০ টাকা তো যারা সর্বনিম্ন টাকা কামাই করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের দিকে তো আরও বেশি। ধান কাটতে গেলে ৭০০/৮০০ টাকা, তিন বেলা খাবার। খাবারের টাকা যুক্ত করলে আরও বেশি। মানে কাজের জন্য লোক পাওয়া যায় না এই রকম একটা অবস্থা দাঁড়াচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে আর্থিকভাবে মানুষের স্বচ্ছলতা বাড়ছে।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest