নিউজ ডেস্ক : প্রথমবারের মতো আলোহা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সমাবর্তনের আয়োজন করলো আলোহা বাংলাদেশ। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কেআইবি অডিটোরিয়ামে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

আলোহা বাংলাদশের ২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গ্র্যাজুয়েট হওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬১৪ জন শিক্ষার্থীকে সমাবর্তনে সনদ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রায় এক হাজার ২০০ অভিভাবক দুটি সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ছিলেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার লোহমুন সাঙ। দুটি সেশনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক ও লেখক আনিসুল হক এবং শিশু সাহিত্যিক ও নাট্যকার নাসরীন মুস্তাফা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলোহা ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর কিরণ মাতওয়ানি। কনভোকেশন মার্শাল হিসেবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম এবং ডিরেক্টর মো. শামসুদ্দিন টিপু।

অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে এত ছোট বয়সে সমাবর্তন নিতে পারছো। আমার বিশ্বাস বড় হয়ে তোমাদের প্রতিভা ও মেধা সারা বিশ্বের মানুষ দেখবে। তোমরাই নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দেবে। এ সময় তিনি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। পাশাপাশি সবক্ষেত্রে দেশের কথা মনে রাখার কথা বলেন তিনি।

আরেক সমাবর্তন বক্তা শিশু সাহিত্যিক ও নাট্যকার নাসরীন মুস্তাফা বলেন, জীবনের যে কোনো কর্মক্ষেত্রে টেকনিক্যাল নলেজের কোনো বিকল্প নেই। তোমরা যে টেকনিক শিখেছো, এটি শুধু গাণিতিক দক্ষতা নয়- এটি তোমাদের চিন্তাশক্তি, ক্রিয়েটিভিটিকে গড়ে তুলবে। তাই তোমরা সবাই স্পেশাল। তিনি আলোহা বাংলাদেশের এই আয়োজনে তাকে যুক্ত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় সমাবর্তন। এরপর বক্তব্য শেষে একে একে সবাইকে গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। মোট দুটি সেশনে ৬১৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে সমাবর্তন প্রদান করা হয়।

২০০৬ সালের মার্চ থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আলোহা বাংলাদেশ। আলোহা আইএসও সনদ প্রাপ্ত লার্নিং সিস্টেম যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪২টি দেশের ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কাজ করছে।