প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক : সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের ওরসকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো লাকড়ি তোড়া উৎসব। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এ উৎসবে অংশ নেন হাজারো ভক্ত।
প্রচুর সংখক ভক্ত অনুরাগী ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত করে তোলেন মাজার প্রাঙ্গন থেকে লাকড়ি সংগ্রহের টিলা পর্যন্ত। ঐতিহ্য অনুযায়ী ওরসের তিন সপ্তাহ আগে লাকড়ি সংগ্রহ করা হয়, যা লাকড়ি তোড়া নামে পরিচিত।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কারও পরনে ছিল লাল জামা, কারও মাথায় লাল পট্টি। হাতে ছিল লাল পতাকা আর লম্বা দা বা তরবারি। জুমার নামাজের পর দরগা প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে ‘নাকাড়া’—এক বিশেষ ধ্বনি, যা শতাব্দী পুরনো এক আধ্যাত্মিক ডাকে রূপ নিয়েছে। সেই মুহূর্তেই সমস্বরে উচ্চারিত হয়, “শাহজালাল বাবা কি জয়!” এবং সেই ধ্বনির সঙ্গেই হাজার হাজার ভক্ত পায়ে হেঁটে রওনা হন শহরতলির লাক্কাতুড়া চা-বাগানের নির্দিষ্ট টিলার দিকে।
সেখানে গিয়ে তাঁরা কাঠ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে শাহজালাল (রহ.)-এর ওরসে রান্নার শিরনিতে ব্যবহার হবে জ্বালানি হিসেবে। বহু প্রজন্ম ধরে এভাবেই পালিত হয়ে আসছে ‘লাকড়ি তোড়া’, যা অনেকেই ‘সিলেট বিজয় দিবস’ বলেও উদযাপন করেন।
উৎসবটি কেবল এক আধ্যাত্মিক স্মরণ নয় এটি এক ঐতিহাসিক দিনও। জানা যায়, প্রায় ৭০০ বছর আগে ঠিক ২৬ শাওয়াল দিনেই হজরত শাহজালাল (রহ.) তাঁর ৩৬০ আউলিয়াসহ সিলেটে পদার্পণ করেন এবং হিন্দু শাসক গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে ইসলামের বিজয় ঘটান। সেই দিনটির স্মরণেই এই লাকড়ি তোড়া উৎসব শুরু হয় এবং আজও তা জীবন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest