প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নে গরুর ক্ষেতের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা গ্রামের উত্তরে ও কামরূপদলং মাদ্রাসার পূর্ব পাশে পশ্চিম বন্দে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল, শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আস্তমা গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন- আক্তার হোসেন, দুলাল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শামসুজ্জামান, নাছির আলী, আবদুল জলিল, খাইরুল আমীন, এমরান হোসেন, সাদিক মিয়া, নুরুজ্জামান ও সৌরভ হোসেন। এছাড়াও ওই গ্রামের পক্ষ থেকে আরও ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

অপরদিকে, কামরুপদলং গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন- বাতির আলী, সুন্দর আলী, সুজন মিয়া, কালাই মিয়া, মতিউর রহমান, শওকত আলী, নবী হোসেন ও শাফি আহমেদ। তাদের পক্ষের আহত আরও ৭ থেকে ৮ জনের নামও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে আস্তমা গ্রামের আলগা বাড়ির (আলাদা বাড়ি) কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ বিষয় নিয়ে দুই কৃষকের মধ্যে মারামারি হয়। পরে এই ঘটনার জেরে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হন।
আস্তমা গ্রামের পক্ষে আজগর মিয়া দাবি করেন, “গরু অবুঝ প্রাণী। তাকে কেউ বলে দেয় না যে, অমুকের জমিতে গিয়ে ধান খেয়ে আয়। গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বজলু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে জমির মালিক সুরুজ মিয়া। এতে আমাদের গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সন্ধ্যায় কামরুপদলং গ্রামের পক্ষে নুরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এসেছিলেন ঘটনাটি শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করে দিতে। আমরাও তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলাই ভালো। কিন্তু আজ (রবিবার) সকালে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।”
কামরুপদলং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, “গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার একটি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে শেষ করে দেই। কিন্তু আস্তমা গ্রামবাসী বিচার না মেনে সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে আক্রমণ করে। পরে আর কোনো কিছুই কন্ট্রোলে থাকেনি। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, “সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। যদি কোনো পক্ষ মামলা করে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest