প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২২
অনলাইন ডেস্ক : অনলাইনে জুয়া খেলার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্রিকেট ও টেনিস খেলাসহ বিভিন্ন লীগ ম্যাচকে ঘিরে প্রতি মুহুর্তে অনলাইনে অবৈধ জুয়া বা বাজি খেলা চলছে দেশ জুড়ে।
আসক্ত হচ্ছে তরুণ-তরুণিরা। রমরমা জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষ এবং তাদের পরিবার। কয়েকটি অপরাধী চক্র এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করছে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য মতে, অনলাইন জুয়াড়িরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে।
অনলাইনে জুয়া খেলার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বিটিআরসি। জুয়া খেলার সাইট, অ্যাপস, জুয়া খেলা শেখা ও প্রচার সংক্রান্ত ফেসবুক এবং ইউটিউব লিংক বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক সাইট ও লিংক বন্ধও করা হয়েছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, সংস্থাটির ডিজিটাল নিরাপত্তা সেল ৩৩১টি জুয়ার সাইট অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে বন্ধ করেছে। এছাড়া গুগল কর্তৃপক্ষকে জুয়া বা বাজি সংক্রান্ত ১৫০টি অ্যাপস বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। ইতোমধ্যে গুগল কর্তৃপক্ষ প্লে স্টোর থেকে ১৪টি অ্যাপস বন্ধ করেছে। যাচাই-বাছাই করে অবশিষ্ট অ্যাপস বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
একই সাথে ফেসবুক ও ইউটিবের মাধ্যমে জুয়া খেলার ওয়েবসাইট ও গুগল অ্যাপসের প্রচার এবং অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ায় ২৭টি ফেসবুক লিংক এবং ৬৯টি ইউটিউব লিংক বন্ধের জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ফেসবুক লিংক ও ১৭টি ইউটিউব লিংক বন্ধ করা হয়েছে। বাকি লিংকগুলো বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও জুয়াড়িরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট/ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন গেইম/জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এজন্য দেশে এবং বিদেশে হোস্টকৃত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলে নিবন্ধন করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কার্ড বা অন্য কোনো মাধ্যমে জমা দিয়ে জুয়ায় অংশ নিতে হয়। নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্য মতে, অনলাইন জুয়াড়িরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সমকালকে বলেন, অনলাইনে অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার সব সময় কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিটিআরসি অনলাইনে জুয়া-বাজির ওয়েবসাইট নিয়মিত মনিটরিং করছে। এর আগেও এ সংক্রান্ত বহু ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। সামনেও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest