প্রকাশিত: ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গণতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টি ন্যাশনাল ও মাল্টিমিডিয়া ও মাল্টি কালচারালের বৃটেনের ওয়েস্টমিনস্টার পার্লামেন্টের সামনে বিশাল সমাবেশ থেকে বাংলাদেশে শান্তি এবং গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছেন হাজারো ব্রিটিশ বাংলাদেশি।
সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামাত -শিবির, বিএনপি কর্তৃক সারা বাংলাদেশের রাষ্টীয় সম্পদ জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞ, নৈরাজ্য, আগুন সন্ত্রাস সহিংসতা নাশকতা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ডাকে সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রখর রৌদ্রতাপ উপেক্ষা করে দুপুরের আগে থেকেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে সমাবেশ স্থলে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে ব্যানার ফ্যাস্টুন,প্লেকার্ড সহ
মিছিল সহকারে আসতে থাকেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও প্রগতিশীল বিভিন্ন সামাজিক ,সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের হাজারের অধিক মানুষ সমবেত হয়ে
“জয় বাংলা, স্লোগান সহ একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই, “শেখ হাসিনা ভয় নেই – রাজপথ ছাড়ি নাই” “যুক্তরাজ্যের মাটি – শেখ হাসিনার ঘাঁটি” মুহর্মূহু শ্নোগানে শ্নোগানে রুদ্রোজ্জল দুপুরে উৎলে উঠে সমাবেশস্থলের জোয়ারের ঢেউ।
অসংখ্য শান্তিপ্রিয় মানুষের এই সমাবেশ নজর কাড়ে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদেরও। একে একে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হোন বৃটিশ স্টেইট মিনিস্টার জিম ম্যাক মোহন এমপি ,ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার করলাইন নকস, পাউলটি হ্যামিলটন এমপি, এমা লয়েল বাক, এমপি ও আফজাল খান এমপি, রিচার্ড বার্গোয়েন এম পি,ও লি এন্ডারসন এমপি।
তাঁরা সমাবেশের আয়োজকদের সাথে কথা বলেন। এসময় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান সহিংসতা সম্পর্কে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের অভিহিত করেন এবং তাঁদের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন । যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, সহ সভাপতি হরমুজ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুদ্দিন আহমদ রিয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী,ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আ.স. ম. মিসবাহ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সারব আলী, তথ্যও গণসংযোগ সম্পাদক রবিন পাল, প্রচার সম্পাদক মাসুক ইবনে আনিস, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমেদ , ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাওছার চৌধুরী,মহিলা সম্পাদিকা মেহের নিগার চৌধুরী, খসরুজ্জামান খছরু, আনসারুল হক,লুতফুর রহমান সায়েদ, মোহাম্মদ মকিস মনসুর, আহমেদ হাসান, লন্ডন আওয়ামী লীগের সভাপতি, নুরুল হক লালা মিয়া, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি, ফকরুল ইসলাম মধু,সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভপতি, তামিম আহমদ, সেক্রেটারী সজীব ভূইয়া, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আঞ্জু মান আরা অঞ্জু, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক, শাহীন আকতার সহ , যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আসা শাখা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ব্রিটেনের পার্লামেন্টের সামনে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন- বাংলাদেশের প্রতিটা দুঃসময়ে যুক্তরাজ্যের প্রবাসীরা বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকের সমাবেশ ও তাই প্রমাণ করে। মুক্তিযুদ্ধে আমরা যাদের পরাজিত করেছিলাম, সেই পরাজিত শক্তি বারবার স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বে আঘাত হানতে চেয়েছে। কিন্ত কখনো সফল হয়নি। হতে পারবে ও না। ছাত্র আন্দোলনের নামে , সাধারণ ছাত্রদের দাবীকে আড়াল করে যখন সারা দেশে ভাংচুর, অগ্নি সংযোগে মেতে উঠে জামায়াত বিএনপির প্রশিক্ষিত খুনী বাহানী , আমাদের বুঝতে বাকী থাকেনা , কারা কলকাঠি নাড়ছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পরাজিত শক্তির চক্রান্তে হারবে না। আমরা তা বিশ্বাস করি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের সেই বিষয় গুলো অবিহিত করতে আজ আমাদের সমাবেশ।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের কুশীলব , পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা বারবার আঘাত হানতে চেয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে চেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ যখন রোল মডেল , তাদের লক্ষবস্তু তখন সেই উন্নয়নযজ্ঞ কে বিনষ্ট করা যা এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে । এই বর্বরোচিত ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়ে ও এই জামায়াত বিএনপি চক্র বসে নেই নানা রকম গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিশীল করে তুলতে চাইছে। বিদেশে সেই সব গুজব প্রচার করে বাংলাদেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ করতে চেষ্টা করছে। আজকে আপনি দেখতে পারছেন , শুধু আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী , অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল , উন্নয়ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পক্ষের হাজার হাজার মানুষ এখানে আমরা সমবেত হয়েছি। ব্রিটিশ লর্ড, এমপি ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে আমরা জানাতে চাই , বাংলাদেশে ছাত্রদেরকে মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করে কীভাবে ধ্বংস যজ্ঞ ও হত্যাকান্ড চালিয়েছে এই দেশদ্রোহী চক্র। আমরা বলতে চাই , আমরা সাধারণ মানুষ শান্তির পক্ষে, সমৃদ্ধির পক্ষে আছি , বাংলাদেশের পাশে আছি ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিটি দুঃসময়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। সমাবেশে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা আরও বলেন, এসব হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপি-জামায়াতকে নিতে হবে।
বিএনপি ও জামায়াতের নৈরাজ্যের কারণে দেশের অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেছে! বিএনপি ও জামায়াতের প্রশিক্ষিত পেইড কর্মীরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাকিস্তানি কায়দায় ধ্বংস করে এবং এই দায়ভার সরকারের কাঁধে চাপিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করতে চায়। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানানো হয়েছে, তাদের কাজে লাগিয়ে জামায়াত বিএনপি গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হীন চেষ্টা বাস্তবায়নে দেশজুড়ে নজিরবিহীন নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম ধারণ করে এবং জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।কোটা আন্দোলন চলাকালে মিছিলের অভ্যন্তরে হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিছিলের ভেতরে কিভাবে সাধারণ ছাত্ররা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে , সেসব সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে আসুক। সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা রক্ষা করতে প্রবাস থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে জামাত বিএনপির নাশকতার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের আয়োজনে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে হাজারো মানুষের এই সমাবেশ সাহস যোগাবে বাংলাদেশের জয়বাংলার কোটি কোটি জনতাকে। লং লিভ শেখ হাসিনা,,
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest