প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২১
নিজের একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাটের স্বপ্ন আমাদের সকলেরই থাকে। সে বাড়ি ছোট হোক বা বড়, নিজের হাতে তাকে মনের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ায় সেই বাড়ি হয়ে ওঠে একান্তই আপন। আজকাল শহরাঞ্চলে অনেকে ছোট দুটো ঘর বা তিনটে ঘরের ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনে থাকেন। অনেকেই হয়তো মনে করেন শুধু বড় ফ্ল্যাটকেই সুন্দর করে সাজানো যায়। এমনটা কিন্তু একেবারেই না, ছোট ফ্ল্যাট বা বাড়িকেও একটু প্ল্যান করে সাজালে দেখতেও যেমন সুন্দর লাগবে তেমনি দেখতে অনেকটা বড় লাগবে। আপনার সেই স্বপ্নের ছোট ফ্ল্যাট বা বাড়ি সাজানোর সহজ কিছু উপায় এবার আমরা জেনে নেব।
ঘরের সৌন্দর্য ঘরের রংয়ের উপর অনেকটা নির্ভর করে। ফ্ল্যাট বা বাড়ির ঘর যদি ছোট হয় তা হলে তার রং এমন বাছতে হবে যাতে ঘর অনেকটা বড় দেখায়। ঘরের রং যদি সাদা বা কোনও হালকা রং যেমন হালকা নীল, লাইম গ্রিন এগুলো করা হয় তা হলে ঘর দেখতে অনেকটাই বড় লাগে। এছাড়া ঘরের যে-কোনও একটা দেওয়ালে অন্য দেওয়ালগুলোর থেকে একটু আলাদা রং করতে পারেন অথবা একটা ওয়াল পেন্টিংও করতে পারেন। সিলিংয়ের রং কিন্তু অবশ্যই সাদা রাখার চেষ্টা করবেন। এতে ঘর বড় দেখাবে। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে পরদার একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। জানালার পরদার লেংথ সিলিংয়ের একটু নীচে থেকে ফ্লোর পর্যন্ত রাখার চেষ্টা করবেন। এতেও ঘর বড় দেখায়। কিন্তু লং লেংথের পরদা সম্ভব না হলে জানলার পুরো লেংথ জুড়ে পরদা বানালে ভাল লাগবে। পরদার রং খুব গাঢ় না হয়ে হালকা হলেই ভাল হয়। এছাড়া ছোট প্রিন্টেড বা ফ্লোরাল প্রিন্টেড পরদাও লাগাতে পারেন। বসার ঘর বা শোওয়ার ঘরের ফ্লোরে ছোট আকারের কার্পেট রাখতে পারেন। এতেও ঘর বড় দেখতে লাগবে।
আসবাবপত্র কিন্তু অবশ্যই ঘরের সাইজ অনুসারে বানাবেন। এখন মিনিমাল লুক খুব ইন। তাই ঘর ছোট হলে যতটা সম্ভব কম আসবাবপত্র রাখবেন। আর সেগুলো মাল্টিফাংশনিং হলেই ভাল। যেমন ডাইনিং স্পেস ছোট হলে সেখানে ফোল্ডিং টেবল রাখতে পারেন। ঘরের খাট, আলমারি ফ্লোর থেকে একফুট উপরে থাকলে মানে তাতে পায়া থাকলে ভাল হয়। তাতে ঘরে ফ্রি স্পেস একটু বেশি মনে হয়। সন্তানদের পড়ার ঘরে ওয়ার্ডরোব বানালে সেটা ঘরের মাপ অনুযায়ী বানাবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে সেটা স্পেস সেভিং আর মাল্টিফাংশনিং হয়। আসাবপত্রের রং সাদা বা হালকা হলে ভাল। এছাড়া খয়েরি বা কালো রংও করতে পারেন। বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে তারা জিনিসপত্র এদিক সেদিক ছড়িয়ে রাখে। তার জন্য দেওয়ালের ছোট ক্যাবিনেট করতে পারেন যাতে ছড়িয়ে থাকা জিনিস তাতে ঝটপট গুছিয়ে রাখতে পারেন। তাতে ঘর পরিষ্কারও থাকবে আবার বড়ও দেখাবে।
ছোট ফ্ল্যাট বা বাড়িতে আলাদা করে ঠাকুরঘর তৈরি করার খুব একটা জায়গা থাকে না। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী যেহেতু উত্তর-পূর্ব দিক ঠাকুরঘরের জন্যে যথার্থ, তাই বাড়ির উত্তর পূর্ব কোণে ক্যাবিনেট করে ঠাকুর রাখতে পারেন। সেটা বাসার ঘর বা শোওয়ার ঘর হলেও ক্ষতি নেই।
এখন বাজারে নানা রকম ডিজাইনের মডিউলার কিচেন চলে এসেছে। রান্নাঘরের স্পেস অনুযায়ী সেরকম মডিউলার কিচেন বানিয়ে নিতে পারেন। কিচেন স্ল্যাবে জিনিস ছড়িয়ে-গুছিয়ে রাখবেন, তাতে জায়গা বড় লাগবে।
ঘরের দেওয়ালে কোনও শো-পিস বা ওয়াল পেন্টিং লাগালে তা অবশ্যই আই লেভেলে রাখবেন। এতে সিলিং স্পেস বড় মনে হয়।
ঘরে যে-কোনও একটা লাইট না রেখে তার সঙ্গে ছোট-ছোট বেশ কয়েকটা ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। ফলস সিলিং করে কভ লাইটও দিতে পারেন। এতে আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, ফলে ঘর বড় দেখাবে।
বাড়ির যে-কোনও একটা ঘরে উডেন ফ্লোর করতে পারেন। এটি দেখতে যেমন ভাল লাগে, খরচাও কম এবং মেনটেন করাও সহজ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest