বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৪

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়

অনলাইন ডেস্ক : টানা তাপপ্রবাহের পর গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। বৃষ্টির সঙ্গে হয়েছে বজ্রপাত। আজ বজ্রপাতে তিন জেলায় সাত জন নিহত ও চারজনের আহত হওয়ার খবর এসেছে। এর মধ্যে নরসিংদীতে মা-ছেলেসহ মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এছাড়া, টাঙ্গাইলে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দুই ভাইয়ের।

 

বজ্রপাত গবেষক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ ফারুখের অভিমত, দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলোয় বজ্রপাতের প্রবণতা বেশি, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। মার্চ, এপ্রিল, মে- এই তিন মাসে দেশে একাধিকবার বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে মে থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এ সময়ে বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রতিবছর গড়ে ৭ লাখ ৮৬ হাজার বজ্রপাত হয়ে থাকে, যার একাংশ মাটি পর্যন্ত আসে।

 

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে করণীয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ২০টি জরুরি নির্দেশনা রয়েছে। এসব নির্দেশনা এখানে উল্লেখ করা হলো–

 

১. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।

 

২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।

 

৩. খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।

 

৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।

 

৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না। গাছ থেকে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।

 

৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।

 

৭. ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।

 

৮. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।

 

৯. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন।

 

১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।