তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে কারাদণ্ড বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন ইউএনও বানিন

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৪

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে কারাদণ্ড বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন ইউএনও বানিন

নকলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন। ছবি সংগৃহীত

মেহ্দী আজাদ মাসুম : তথ্য চাইতে যাওয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেয়ার আলোচিত ঘটনায় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন শেরপুরের নকলার উপজেলার সেই নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন। দায়িত্বে অবহেলা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন। আলোচিত এ ঘটনায় শেরপুরের জেলা প্রশাসকের ভুমিকা কী ছিলো, সেসময় তিনি কোথায় ছিলেন, তিনি কী বিষয়টি জানতেন, এসব বিষয় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহ্ উদ্দিন চৌধুর। তিনি বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে এবং তা যদি প্রমানিত হয়, তবে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

 

গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তথ্য কমিশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী চাওয়া তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা করেছেন নকলার ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ।

 

তথ্য কমিশন বলেছে, ‘গত ৭ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম কলামে ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তর সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি তথ্য কমিশন পর্যালোচনা করে স্বপ্রণোদিত অনুসন্ধান করে। শুনানিতে নকলার ইউএনওর বক্তব্য শুনেছে কমিশন। তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা এবং তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তথ্য কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।’

 

প্রধান তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং মাসুদা ভাট্টি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

 

আলোচিত এ ঘটনায় শেরপুরের জেলা প্রশাসকের ভুমিকা নিয়ে সে সময়েই প্রশ্ন উঠেছিলো। বিষয়টি আমলে নিয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সেসময় কোথায় ছিলেন, তিনি কী বিষয়টি জানতেন বা তার কোন অবহেলা ছিলো কী-না, এসব বিষয় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহ্ উদ্দিন চৌধুর। তিনি বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে এবং তা যদি প্রমানিত হয়, তবে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।