ইতিহাসের স্বাক্ষী হলাম, রাশিয়া থেকে দেশে এলো ইউরেনিয়াম : সাদরুল আহমেদ খান

প্রকাশিত: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩

ইতিহাসের স্বাক্ষী হলাম, রাশিয়া থেকে দেশে এলো ইউরেনিয়াম : সাদরুল আহমেদ খান

সাদরুল আহমেদ খান : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দু:সাহসী নেতৃত্বের ফসল দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনে মূল জ্বালানি ইউরেনিয়ামবাহী বিমান Ilyushin Il-76 বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অবতরণ করলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই জ্বালানি ইউরেনিয়াম আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

স্পর্শকাতর এই জ্বালানির নিরাপত্তা, পরিবহন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রসিডিউরাল ডকুমেন্টস, অ্যাকশন প্ল্যান, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনাসহ প্রক্রিয়ার পুরোটাই হচ্ছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা মেনে। এরমধ্যে আছে: নিউক্লিয়ার সেফটি, নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি, সেইফগার্ড অফ নিউক্লিয়ার মেটারিয়াল ও সেফটি ডিউরিং ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন।

 

রূপপুরের জ্বালানি আসা শুরু হওয়ায় ওই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

 

রূপপুরের জ্বালানি আমদানি ও পরিবহনের ক্ষেত্রে আইএইএ-এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। রাশান ফেডারেশনের যে রপ্তানি নীতি, তার আলোকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। ফলে এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হলো আজকে। পারমানবিক জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো, সাংগঠনিক অবকাঠামো, দক্ষতা ও জনবল তৈরি করে বাংলাদেশ দক্ষতার সাক্ষর রাখলো, এটা একটা বড় মাইলফলক।

 

ঢাকা বিমান বন্দর থেকে জ্বালানি পরিবহনে যে আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো সেগুলো ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বেশ কয়েকবার মহড়া দেয়া হয়েছে, প্রাথমিক ও বিকল্প রুট নির্ধারণ করা হয়েছে, জ্বালানি পরিবহনের সময় গাড়ির গতিসীমা ও রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবহনের ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনলঙ্ঘন এবং নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক বাংলাদেশ।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি কো-অরডিনেশন কমিটি করা রয়েছে, এই পরিবহনের সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

 

রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট অবকাঠামো তৈরি করে ইতিমধ্যে গ্লোবাল নিউক্লিয়ার ক্লাবে প্র্যাকটিক্যাল স্টেপে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। আর জ্বালানি আমদানির মধ্যদিয়ে একটা অপারেটিং কান্ট্রি স্ট্যাটাসে উন্নীত হলো বাংলাদেশ। এই ইউরেনিয়াম রুপপুর পৌছালেই পরীক্ষামুলক উৎপাদনে যাবে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটি।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ অচিরেই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই রূপপুরই অতি দ্রুত উজ্জ্বল করবে বাংলার রূপ।

 

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

 

লেখক: সাদরুল আহমেদ খান, স্কোয়াড্রন লীডার (অব.), সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট-আর্মস এবং সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।