প্রকাশিত: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বয়সে দু’বছরের বড় প্রেমিকা। কিন্তু তার জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত ছিলেন তরুণ প্রেমিক। প্রেমিকার মন রক্ষায় রীতিমতো ডাকাতের দল গড়ে তোলেন তিনি। এরপর একের পর এক দুর্ধর্ষ অভিযান চালিয়ে লুট করেন লাখ লাখ টাকার সম্পদ। তারপর সেই টাকার সিংহভাগ নিয়ে তুলে দেন প্রেমিকার হাতে।
এভাবেই চলছিল। কিন্তু এলাকায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। তাদের কড়া নজরদারিতে শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে ডাকাত দলটি। গ্রেফতার করা হয় তরুণের ‘অনেক সাধের’ সেই প্রেমিকাকেও। সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশে ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি রাজ্যের এটাওয়া শহরে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছিল। তদন্তে নেমে গত রোববার (১৮ জুন) ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করতেই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তবে তদন্তকারীদের সবচেয়ে অবাক করেছে, প্রেমিকা মহিমা সিংয়ের ইচ্ছাপূরণ করতেই ওই চক্রের মূলহোতা ২২ বছরের পারস তিওয়ারি ডাকাতি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। পারস বাকি অপরাধীদের সংঘবদ্ধ করে অন্তত চারটি বড় ধরনের ডাকাতি করেন। তা থেকে মোট ৬০ লাখ রুপি (প্রায় ৮০ লাখ টাকা) উপহার দেন ২৪ বছর বয়সী মহিমাকে।
ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার বাকিরা হলেন অমিত সোনি (২৩), রাজা (২০), জ্ঞানেশ্বর গুপ্ত (২১) এবং দেবেন্দ্র বর্মা সোনার (৩৩)।
এই চক্রটি মূলত নিরিবিলি এলাকার গহনার দোকানগুলোকে নিশানা করতো এবং লুট করা জিনিসগুলো গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করা হতো। এরপর সোনা-রূপাসহ মূল্যবান জিনিসগুলো বিক্রি করা হতো একটি জুয়েলার্সে।
এটাওয়ার এসএসপি সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, ডাকাত দলের কাছ থেকে নগদ নয় লাখ রুপি ও আট লাখ রুপি দামের গহনা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও দু’টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ছুরি এবং তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরবর্তী তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest