প্রকাশিত: ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : প্রলোভন, মিথ্যা আশ্বাস কিংবা কোনো প্ররোচনায় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপোষ-রফা করা যাবে না। এমন বার্তা বিএনপির হাইকমান্ডকে দিয়েছেন সিলেট ও খুলনা বিভাগের বিএনপি সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানরা। তারা বলেছেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না, দেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখতে হবে। তবে আন্দোলন ও আগামী নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করুন এবং চূড়ান্ত আন্দোলনের কৌশল ঠিক করুন।
গতকাল মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার মতবিনিময় সভায় সিলেট ও খুলনা (আংশিক) বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরা এই মতামত দেন। ভার্চুয়ালি লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার মতামত শোনেন। সভায় ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সমর্থনে বিজয়ী খুলনা বিভাগের দুই জেলা (সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট) এবং সিলেট বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান ১৭৫ জন চেয়ারম্যান অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৩০ জন বক্তব্য দেন।
সভার শুরুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির কবলে বাংলাদেশ নিমজ্জিত। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, মামলা, গ্রেপ্তার অব্যাহত। এই ভয়াবহ সরকারের হাত থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করে আন্দোলনকে বেগবানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, ড. এনামুল হক চৌধুরী, মিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিভাগের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
দলের নেতারা বলেন, সরকারের ব্যর্থতা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। আগামীতে চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করার জন্য সকলকে সত্রিক্রয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তাঁরা।
জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বেশিরভাগ বর্তমানে দেশের সংকটে বিএনপিকে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বিগত দিনে দলের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তারা বলেন, ওই সময়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ঐক্য গড়ে দল ভুল করেছিল। কামাল হোসেনের প্ররোচনায় এবং সরকারের মিথ্যা আশ্বাসে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যায় বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোন শর্তে বিএনপি নির্বাচনে গেছে তা আজও জানা যায়নি। আগামীতে এরকমভাবে প্রলোভন কিংবা মিথ্যা আশ্বাসে নির্বাচনে গেলে তৃণমূলের মনোবল একেবারে ভেঙ্গে পড়বে। তারা বিপদে পড়বেন। অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন বলেও মত দেন তাঁরা।
সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের দিকে বিএনপিকে জোরালোভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, আন্দোলনের পাশাপাশি সংগঠনকেও শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল নিরসন করতে হবে। সম্মিলিতভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে সফল আন্দোলন হবে না। মাঝপথে আন্দোলন থেকে সরে আসলে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়বেন। শুধু বাড়ি-ঘর নয়, এলাকাছাড়া হতে হবে। তাই সংলাপ বা সমঝোতার দিকে না গিয়ে এক দফার আন্দোলনের দিকে নজর দিতে দলের হাইকমান্ডকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট জেলার একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। প্রায় সবাই এখন চূড়ান্ত আন্দোলন চান। তারা বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে অতিষ্ঠ মানুষের অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডকে কোরবানির ঈদের আগেই কঠোর আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আপনারা সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, মান-অভিমান ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন, তৃণমূলে জনগণকে সংগঠিত করুন, যথাসময়ে আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি আসবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest