সিলেটে এক স্ত্রীর দুই স্বামী! রাস্তায় টানাটানি

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩

সিলেটে এক স্ত্রীর দুই স্বামী! রাস্তায় টানাটানি

অনলাইন ডেস্ক : সিলেটে ঘটেছে অদ্ভূত এক কাণ্ড। এক স্ত্রীর বের হয়েছেন দুই স্বামী। তারা দু’জন রাস্তায় সেই স্ত্রীকে নিয়ে করেছেন টানাটানি। হয়েছে হাতাহাতিও।

 

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় মহানগরের লামাবাজারস্থ আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 

পরে প্রথম স্বামী দাবিদার যুবক ওই নারী ও তার ‘দ্বিতীয় স্বামীকে’ ধরে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) এক সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে নিয়ে যান।

 

জানা যায়, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্দার থানার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে আইরিন সুলতানাকে (৩৫) ১৯ বছর আগে বিয়ে করেন চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি থানার বাদিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. খোকন মিয়া (৪৫)। বিয়ের পর একে একে তাদের ঘরে জন্ম হয় চার সন্তানের। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিলেটে আসেন। পরে ২০১৯ সালের শুরুতে চলে যান মালদ্বীপ। এরপরই সুলতানা বিভিন্নজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। একপর্যায়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার কাউয়াদি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেনের (৩৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুলতানার। ১৫ মাস আগে সিলেটে কোর্ট ম্যারেজও করে ফেলেন কবির এবং সুলতানা। চার সন্তান ও স্বামী খোকনের সংসার ছেড়ে চলে সুলতানা যান কবিরের ঘরে। কবিরের সঙ্গে বিয়ের সময় সুলতানা নিজেকে তালাকপ্রাপ্তা উল্লেখ করেন।

 

খবর পেয়ে দেশে ফিরে হন্য হয়ে সুলতানাকে খুঁজতে থাকেন খোকন। অবশেষে বুধবার বিকেল ৫টায় সিলেট মহানগরের লামাবাজারস্থ আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তায় সুলতানাকে খোকন পেয়ে যান। এসময় তার বর্তমান স্বামী কবিরও সঙ্গে ছিলেন। কবির হোসেন দক্ষিণ সুরমার কদমতলিস্থ ড্রাইভার রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি। বিয়ের পর সুলতানাকে তিনি আয়েশা মেডিকেয়ারে আয়া’র চাকরি পাইয়ে দেন।

 

এদিকে, বুধবার বিকেলে আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনের রাস্তায় সুলতানা ও কবিরকে পেয়ে পাকড়াও করেন খোকন। এসময় তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা এবং হাতাহাতি হয়। পরে খোকন ও তার সঙ্গীরা এ দুজনকে ধরে শাহজালাল উপশহরের তেররতনে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় খোকন সন্তান ও তার বোনকে নিয়ে থাকেন। পরে খোকন বিষয়টি নিয়ে সিসিকের ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকীর দ্বারস্থ হন। লাকি পরে এ তিজনকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরাণ থানাপুলিশের হাতে তুলে দেন।

 

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকী কে বলেন- বিষয়টি জটিল। দুই স্বামী-ই বলছেন বিয়ের প্রমাণ রয়েছে। তাই তিনজনকেই আমি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

 

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন- আমাদের টিম তাদের আনতে গেছে। এখনও রাস্তায়। আসার পর তাদের বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।