প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
স্পোর্টস ডেস্ক : শক্তিমত্তায় খুলনা টাইগার্সের চেয়ে বেশ পিছিয়ে ঢাকা ডমিনেটর্স। দলে নেই বড় কোনো নাম। এজন্য ফেভারিটের তালিকাতেও ছিল না তারা। অথচ খুলনাকে মাঠের খেলায় ঠিকই হারিয়ে দিলো তারা। খুলনাকে ৬ উইকেটে জিতে বিপিএলের শুরুটা রাঙালো ঢাকা।
মিরপুরে বিপিএল মানেই লো স্কোরিং ম্যাচ। বিশেষ করে দিনের ম্যাচে রান হবে না তা যেন নিয়ম হয়েই দাঁড়িয়েছে। মোটামুটি একটা ধারণা ক্রিকেটপ্রেমীরা করেই নিতে পারেন যে, ম্যাচ হবে লো স্কোরিং। প্রথমে ব্যাটিং করা দল মামুলি পুঁজি পাবে। কিন্তু রান তাড়া করতে গিয়ে দ্বিতীয় দল হোঁচট খাবে। মামুলি লক্ষ্য কঠিন করে অতিক্রম করবে। শেষমেশ ম্যাচ জমিয়ে জয়ের হাসি হাসবে।
লিগের প্রথম ম্যাচের পর তৃতীয় ম্যাচেও একই চিত্র ধরা পড়লো। আগে ব্যাটিং করে খুলনা ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি। ঢাকা শেষ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে। ব্যাট-বলে দায়িত্বশীল পারফর্ম করে ঢাকার জয়ের নায়ক নাসির হোসেন। প্রথমে বল হাতে ২৯ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের স্বাদ দিয়েছেন। কন্ডিশন পুরোপুরি ব্যবহার করে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন আল-আমিন হোসেন। ২৮ রানে তার শিকার ৪ উইকেট।
খুলনার ইনিংসের ১২০ বলের খেলায় ৬২ বলই ডট। ম্যাচের চিত্র বলে দেয় এ পরিসংখ্যানেই। তবে লো স্কোরিং ম্যাচের আলোচিত ঘটনা ছিল সৌম্য সরকারের আউট নিয়ে নাটক। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন নাসুম আহমেদ। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন সৌম্য। খুলনার আবেদনে সাড়া দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। সৌম্য সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিয়ে নেন। ডিআরএস না থাকায় তৃতীয় আম্পায়ারের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেটাই হলো। ছিল না বল ট্র্যাকিং, ছিল না হক আই, স্নিকো বা নূন্যতম সুযোগ সুবিধা। তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে বারবার বোঝার চেষ্টা করেছেন বল কোথায় আঘাত করেছে। রিপ্লেতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল বল সৌম্যর গ্লাভসে লেগেছিল এবং আউট সাইড অব দ্য স্টাম্প পিচ করে লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হুট করেই অনফিল্ড আম্পায়ার সৌম্যকে আউট দিয়ে দেন। তাতে বিস্মিত হয়ে পড়েন এ ব্যাটসম্যান। জায়ান্ট স্ক্রিনেও দেখানো হয় ফল অব উইকেট।
সৌম্য মাঠেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। পরবর্তীতে আবার তার শটের রিপ্লে দেখা হয়। এবার আম্পায়ার তাকে নট আউটের সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি খুলনা। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে আম্পায়ারের সঙ্গে বিতন্ডায় জড়াতে দেখা যায়। পাশেই ছিলেন অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি। সেই যাত্রায় সৌম্য টিকে গেলেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। ওয়াহাব রিয়াজের বলে ১৬ রানে ফেরেন সাজঘরে। মিঠুন ৮ রানে বোল্ড হন ম্যাকরেনের বলে। দল ছিল তখন বিপদে।
সেখান থেকে নাসির হোসেন ৩৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। খুলনার ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংও ছিল এলোমেলো। লো স্কোরিং ম্যাচেও ওয়াহাব রিয়াজ ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন। নাসুম ২৩ ও সাইফউদ্দিন ২২ রান করেন।
এই কন্ডিশন, উইকেট সব নখদর্পণে থাকায় খুলনার ওপেনার তামিমের ওপর ছিল বিরাট প্রত্যাশা। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়া ব্যাটসম্যান নিজেই তালগোল পাকালেন। ১৫ বলে ৮ রানে ফিরেছেন সানির বলে আলগা শটে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এর আগে নাসির ফেরান আরেক ওপেনার শারজিল খানকে। তিনে নামা মুনিম শাহরিয়ার পেসার আল-আমিনের প্রথম ওভারে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। সেখান থেকে আজম খান, ইয়াসির আলী ও সাইফউদ্দিন লড়াই করে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান। আজম খান ১৮, অধিনায়ক ইয়াসির সর্বোচ্চ ২৪ ও সাইফউদ্দিন ১৯ রান করেন। শেষ দিকে ১১ বলে ১১ রান তুলে প্রয়োজন মেটান সাব্বির। খুলনার রান একশ পেরিয়ে যায় ওয়াহাবের কারণে। শেষ দিকে ৩ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১০ রান করেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
ঢাকার বোলিং ছিল আঁটসাঁট। পেসার আল আমিন ৪ ওভারে ২৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির ও আরাফাত সানি।
ঘন কুশায়ার কারণেই দুপুর দেড়টার ম্যাচ শুরু হয় ২টায়। ত্রিশ মিনিট খেলা পিছিয়ে গেলেও মাঠের কন্ডিশনে তেমন প্রভাব পড়েনি। কারণ কুয়াশার চাদর দিয়ে ঘেরা ছিল গোটা শের-ই-বাংলা। কৃত্রিম আলোয় অনুষ্ঠিত হয় পুরো ম্যাচ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest