প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
নবীন সোহেল: সারাদেশে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া। এতে সিলেট নগরীতে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হিমেল হাওয়ায় সৃষ্ট তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। এই শীতে বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠান্ডা আর কুয়াশায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
অন্যদিকে শীত উপলক্ষে করে নগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচা-কেনা। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণীপেশার মানুষ শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে।
নগরীর ফুটপাতগুলোতে প্রতিরাতে শুয়ে রাত কাটান অনেক মানুষ। গত দুদিনে শহরের তাপমাত্রা যখন নেমে এসেছে তখনো তাদের ওই একই ব্যবস্থা। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও বেশিরভাগ মানুষই বসে আছেন শুন্য হাতে। রাত যেনো তাদের জন্য মরণফাঁদ।
নিম্ন আয়ের মানুষরা বলছে, শীত উপভোগের সুযোগ নেই। তাদের মুখোমুখি হতে হয় দুর্ভোগের।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। শীতের প্রকোপে নিম্ন আয়ের মানুষের পোহাতে হচ্ছে দুর্বিষহ পরিস্থিতি। ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে, আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা উষ্ণতার ছোঁয়া পেতে মরিয়া এই মানুষগুলো। কিন্তু পেটের দায়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর চলবে না।
জিন্দাবাজারের দুইধারে সারি সারি বস্ত্রের দোকান সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ওয়ানসিটি হিসেবে খ্যাত। এখানকার দোকানগুলোতে কম দামে শীতবস্ত্রসহ অন্যান্য কাপড় পাওয়া যায় কয়েক বছর ধরে। এখানে অল্প দামে কেনাকাটা করেন নিম্নআয়ের মানুষজন। ফলে এটি গরীবের মার্কেট হিসেবেও পরিচিত লাভ করেছে। কিন্তু সেই মার্কেট এখন ধনীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে। শীত বাড়ার সঙ্গে নানা শ্রেণীপেশার মানুষ এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন গরম কাপড় কিনতে।
সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, শীতার্ত মানুষদের গরম কাপড় কেনার দৃশ্য। সব পেশাশ্রেণির মানুষ এখান থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কাপড় কিনছেন। আর এতে বেকায়দায় পড়ছেন ছিন্নমূল পরিবারের সদস্যরা।
পৌষের শুরুতে জেলায় জেঁকে বসতে শুরু করছে শীতের তীব্রতা। গত তিনদিন ধরে মধ্যরাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে প্রত্যান্ত অঞ্চল। কনকনে এই শীত নিবারণে সব পেশাশ্রেণির মানুষ ঝুঁকে পড়েছে গরম কাপড়ের দিকে। ওই পট্টিতে কেউ কিনছেন লেপ-তোশক, আবার কেউ কেউ কিনছেন সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার ও মোজাসহ বিভিন্ন ধরণের বস্ত্রাদি। এখানকার অধিকাংশ ক্রেতা ছিন্নমূলের হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের আনাগোনা লক্ষ্যণীয়।
এদিকে, শীতের তৗব্রতা বেড়ে যাওয়া চরম বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা। তাদের শীতের কবলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ার পাশাপাশি গরম কাপড় কেনার ব্যাপারটিও সমস্যায় যোগ হয়েছে তাদের।
গরম কাপড় কিনতে আসা জয়নাল নামের এক রিকশা চালক বলেন, ‘শীতের কারণে একদিকে কমেছে রোজগার, অন্যদিকে ছেলে-মেয়েদের শীতবস্ত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। এই মার্কেটে ধনীদের ঠেলায় কাপড় কেনা দায় হয়ে পড়েছে।
সুলতানা নামের এক স্কুল শিক্ষিকা বলেন, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বড় বড় মার্কেটে গরম কাপড়ের দাম বেশি। তাই ফুটপাতের দোকানগুলোতে কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে এসেছি। এখানে বিভিন্ন মোটা কাপড়ের ডিপি থেকে বেছে বেছে সোয়েটার-জ্যাকেট ও মোজা কিনতে পারছি আমরা।
গরম কাপড় বিক্রেতা সাহেদ মিয়া বলেন, আমরা অনেকে আছি বিশেষ করে শীতকালে এখানে অস্থায়ী দোকান বসাই। এখানে কম দামে ভালো মানের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, ‘আগে শুধু গরিব মানুষের এখানে কাপড় কিনতেন। ইদানিং সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে নিজেদের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কাপড় কিনতে আসেন। বিশেষ করে শীতকালে এখানে জমজমাট বেচাকেনা চলে।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest