প্রকাশিত: ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক : সিলেটের বালাগঞ্জে পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে না করায় হয়রানির শিকার হচ্ছে এক তরুণী ও তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। শনিবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তরুণী।
বালাগঞ্জ উপজেলার শিওরখাল (বড়জমাত) গ্রামের মো. আব্দুল হক ও হেপি বেগমের মেয়ে খাদিজা বেগম হাবিবা (২১) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, “চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল আমাদের পার্শ্ববর্তী শিওরখাল-কদমতলা গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে আমার ভালোবাসার মানুষ লিটন আহমদের সঙ্গে আমি স্বেচ্ছায় গিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ সুরমা উপজেলার) ২৪ নং ওয়ার্ডের কাজী অফিসে গিয়ে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু আমার মা-বাবা এ বিয়ে মেনে নেননি। আমার ও লিটনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকা অবস্থায় আমি বিষয়টি বার বার পরিবারের কাছে উপস্থাপন করেছি। কিন্তু তারা মেনে নেননি। একপর্যায়ে আমাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করলে আমি লিটনকে বিয়ে করি। কিন্তু আমাদের বিয়ে ঠেকাতে না পেরে পরবর্তীতে আমার মা বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে বক্তব্য প্রদান করেন। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
.jpg)
সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা বেগম হাবিবা আরও বলেন, “শুধু মিথ্যা তথ্যে সংবাদ সম্মেলন করেই আমার মা ক্ষান্ত হননি, আমার স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে আসামি করে এ পর্যন্ত ৩টি মামলা করেছেন। তাদের দায়েরকৃত মামলার শুনানিতে আমি সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে আমি বলেছি- লিটন আহমদের সাথে আমার ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই। তারা আমাকে লিটন আহমদের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হননি। লিটন আহমেদর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আমাকে চাপ দেন, নির্যাতন করেন। তারা জোর করে আমাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চান। ফলে বাধ্য হয়ে ২৮ এপ্রিল লিটন আহমদকে আমি স্বেচ্ছায় গিয়ে বিয়ে করি। আমার জবানবন্দীর প্রেক্ষিতে আদালত আমার মা-বাবাকে আপস করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপরও আমার মা-বাবার হয়রানিমূলক কার্যক্রম থামছে না। বিয়ের পর বৈঠকে উপস্থিত সালিশি ব্যক্তিদেরকেও হয়রানি করছেন আমার মা। মিথ্যা মামলায় আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সালিশি ব্যক্তিদেরও করেছেন আসামি। আমার মামা শ্বশুরের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে করেছেন হয়রানি।”
হয়রানি থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী খাদিজা বেগম হাবিবা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হাবিবার স্বামী লিটন আহমদ ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest