ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেল কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ

প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেল কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ

6

নিউজ ডেস্ক : টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের প্রধান সড়ক, হোটেল মোটেল জোন, সৈকত সড়কসহ প্রায় ৩০টি উপ সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। ১২ ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে কয়েকশ’ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালামাল। জলাবদ্ধতার কারণে শত শত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে এ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

 

তথ্যমতে,কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের কলাতলী, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, টেকপাড়া, কালুরদোকান, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, বাস টার্মিনাল এলাকাসহ বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে শহরের যান চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

6

 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে। এরপর রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণ পুরো শহরের আট লাখ মানুষের কর্মজীবন অনেকটাই থামিয়ে দেয়। এমন ভারী বর্ষণ গত ৫০ বছরে দেখেননি কেউ।

 

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তায় জানানো হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরসমূহে ঝোড়ো হাওয়া বইয়ে যেতে পারে। কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

 

8

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এমন ভারী বর্ষণ এ জীবনে তিনি দেখেননি। বর্ষণে পর্যটন শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

1

 

শহরের পাহাড়তলী বৈইল্লা পাড়ার বাসিন্দা বাবুল বড়ুয়া জানান, টানা বর্ষণে পাহাড়তলীর তিনটি সড়ক ডুবে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি ও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে নারী-শিশুরা চরম দুর্ভোগ আছে।

 

পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল গণমাধ্যমকে জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, মোস্তাইক্যাপাড়া, বন্দরপাড়া, উত্তর নুনিয়াছটার কয়েকশ’ ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে রান্নাবান্না বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ খাবার ও পানীয় জল সংকটে আছেন।

 

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ভারী বর্ষণ হলেই হোটেল-মোটেল জোনে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন পর্যটকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করে।

 

পাহাড় কাটার কারণে সে মাটি বৃষ্টির পানিতে নিচের দিকে নেমে পানি চলাচলের নালা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। গত জুলাই মাসেও কয়েক দফায় ভারী বর্ষণে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল বলেও জানান তিনি।

 

এমন জলাবদ্ধতা আর চোখে পড়েনি জানিয়ে শহরের তারাবুনিয়াছড়ার বাসিন্দা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আয়াছুর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পৌরসভার মেয়রসহ অধিকাংশ কাউন্সিল আত্মগোপনে যান। শহরের ময়লা–আবর্জনায় নালা-নর্দমা ভরে আছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি নালা দিয়ে নেমে যেতে পারছে না বলেই শহরজুড়ে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ যাচ্ছে।

 

3

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

 

উল্লেখ্য ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

sylhet24

Follow for More!

1
5