গাজার বৃহত্তম হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৩

প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৩

গাজার বৃহত্তম হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৩

অনলাইন ডেস্ক : গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। অঞ্চলটির শাসনগোষ্ঠী হামাস সরকার শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

 

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গাজা শহরের আল-শিফা কম্পাউন্ডে এদিন ইসরাইলি হামলায় ১৩ জন নিহত এবং ডজন খানেক আহত হয়েছে। তবে এ পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

 

আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেছেন, ইসরাইলি ট্যাংকগুলো আল-শিফা হাসপাতালে আক্রমণ চালায়। তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

 

৩২ বছর বয়সী আবু মোহাম্মদ ১৫ জন আত্মীয়সহ হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজা শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে তার আশপাশের এলাকায় বোমা হামলার শিকার তিনি।

 

আবু বলেন, কোনো নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই। সেনাবাহিনী আল-শিফায় আঘাত হানে। আমি জানি না কি করা উচিত। হাসপাতালে গুলি চলছে…আমরা বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ট্যাংকগুলো গাজা শহরের আরো কিছু হাসপাতাল ঘেরাও করেছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েক হাজার লোককে অঞ্চলটির দক্ষিণে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ইসরাইল।

 

এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ভোরবেলা শহরের ওপর দিয়ে আগুনের গোলা ও ধোঁয়া উঠছে। শুক্রবারের প্রথম দিকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

 

ইসরাইল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কাছে ভারী লড়াইয়ের খবর দিয়ে বলেছে, তারা কয়েক ডজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে, যা হামাসের লড়াইয়ের ক্ষমতার চাবিকাঠি।

 

এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বারবার হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার সমন্বয় সাধনে হাসপাতাল, বিশেষ করে আল-শিফা ব্যবহার করে হামাস। পাশাপাশি এটি হামাস কমান্ডারদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও করেছে তারা। হামাস কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে হামলা চালালে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। সেই সঙ্গে তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরপর ইসরাইল যুদ্ধ ঘোষণা করে। হামাসকে ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসরাইল বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন