ক্রেডিট কার্ডে ডলার সীমা লঙ্ঘন, ২৭ ব্যাংককে শোকজ

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২

ক্রেডিট কার্ডে ডলার সীমা লঙ্ঘন, ২৭ ব্যাংককে শোকজ

অনলাইন ডেস্ক : ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ডলারের সীমা লঙ্ঘন করেছে ২৭টি ব্যাংক। এক্ষেত্রে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ডলারের একক মূল্য ও সর্বোচ্চ মুনাফা দেড় টাকা কার্যকর করার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা না মানা হলে মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করবে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন।

ডলার কারসাজি রোধে রুটিনমাফিক ব্যাংক পরিদর্শন করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম। এর ধারাবাহিকতায় ২৭ ব্যাংকের ৭১টি ক্রেডিট কার্ডে ডলার লেনদেনের সীমা লঙ্ঘনের মতো অনিয়ম পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সীমার বাইরে লেনদেনের কারণে ব্যাংকগুলোর নিকট ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৫ কার্যদিবসের নোটিশের জবাব দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের ক্রেডিট কার্ডের একটা লিমিট আছে। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে সাড়ে ১২ হাজার ডলার লেনদেন করা যায়। মোট ২৭টি ব্যাংক সীমার বাইরে লেনদেন করেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। সীমার বাইরে লেনদেনের কারণে ব্যাংকগুলোর নিকট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে সাড়ে ১২ হাজার ডলার লেনদেনে করা গেলেও অনিয়মে পাওয়া ৭১টি কার্ডে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত লেনদেন করা হয়েছে। এসব তথ্য আরও পর্যালোচনা করে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে ব্যাখ্যা দিতে নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম নিয়মিত কাজ করছে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ডলার নিয়ে কারসাজির করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই ব্যাংকগুলো হলো: সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া ডলারের সংকট ও কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকায় এর আগে ৬ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের অপসারণ, ৫টি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪৫টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাতে কেউ কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট না করতে পারে তার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মেও নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে মুনাফার হারও নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংক যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে সেই দরকে বেঞ্চ মার্ক ধরে তার চেয়ে ১ টাকা বেশি দরে কিনতে পারবে এবং সর্বোচ্চ ১.৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো। যা ব্যাংকগুলোর জন্য ১ টাকা।

বর্তমানে আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম ৯৫ টাকা। আর খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১১ টাকায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন