জনপ্রতিনিধি না হয়েও হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন

প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৩

জনপ্রতিনিধি না হয়েও হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়। তার পিতা সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল জব্বার বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে দায়িত্বে আছেন। তিনি একজন কর্মকর্তা হয়েও কুলাউড়া উপজেলার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। যা একজন জনপ্রতিনিধির কাছে এতো উন্নয়ন করা দু:সাধ্য ব্যাপার। তিনি গত তিন চার বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। এছাড়া আরও প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব প্রেরণ করেছে। এসব উন্নয়নে ইতিমধ্যে এলাকায়ও তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে ঊঠেছেন। এখন তাকে উন্নয়নের বরপুত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন উপজেলার জনসাধারণ।

বিগত তিন চার বছরে কুলাউড়া উপজেলায় তিনি যেসব উন্নয়ন করেছেন তা হলো:

 

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৭টি রাস্তার অনুমোদন, যার কাজ চলমান রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে৫৭টি রাস্তার অনুমোদন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৯৩টি রাস্তা পাকাকরণের অনুমোদন হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রকল্পে ২৩.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলায় ১ হাজারেরও বেশি গভীর নলকূপ স্থাপন বাস্তবায়ানাধিন রয়েছে। কুলাউড়া উপজেলায় গ্রীণ হাউজ গ্যাস নি:সরণ কমানোর লক্ষে সৌর বিদ্যুতায়িত। সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে৪ কোটি টাকার বারদ্ধ প্রদানের প্রস্তাব প্রেরণ। এছাড়া মসজিদ, মন্দির কবরস্থান, ঈদগাহসহ প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

 

সেতু বিভাগ থেকে, ১১.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফানাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানাধীন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে কুলাউড়া শহর অংশে যাজট নিরসনে প্রশস্থ চারলেনে সড়ক উন্নীতকরণের জন্য ৪১ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ। দূর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ ও ১.৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি ব্রীজ নির্মাণ।

 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কুলাউড়া উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ। উপজেলার ছককাপন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার টাকা, নয়াবাজার কেসি স্কুল এন্ড কলেজে ৫০ হাজার টাকা, টিলাগাঁও এএন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার টাকা অনুদান।বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনকে আর্থিক অনুদান বিতরণ। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ক্রীড়া সামগ্রি বিতরণ। ৭৫টি ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনে ক্রীড়া সামগ্রি বিতরণ।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভবন মেরামতের জন্য কুলাউড়া সরকারি কলেজের ১৫ লক্ষ টাকা, জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ লক্ষ টাকা, নয়াবাজার কে.সি স্কুল এন্ড কলেজে ১৫ লক্ষ টাকা, টিলাগাঁও এএন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ লক্ষ টাকা, বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, গজভাগ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবয় দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ। ২০২১-২২ অর্থবছরে কানিহাটি বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও হায়দারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরও ৪টি স্কুল ভবন নির্মাণ ও আরও ৯টি স্কুল মেরামত করানোর জন্য ১.৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

 

কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে কুলাউড়া কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজের অনুমোদনসহ আরও ১০টি মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে গাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা ও বাবনিয়া হাসিমপুর নিজামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভবণ নির্মাণসহ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বরমচাল হযরত খন্দকার (র:) দাখিল মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ ও অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য প্রতি স্কুলকে ২লক্ষ টাকা করে ও ৭টি স্কুলকে বৃহৎ মেরামতের জন্য ৬-৭ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৮টি স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন ও অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ, ৮১টি বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে ১.৬২ কোটি টাকা, ৬টি বিদ্যালয়ে বৃহৎ মেরাতমের জন্য ৬-৭ লক্ষ টাকা করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আর ৮টি বিদ্যালয়ে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫টি বিদ্যালয়ে বৃহৎ মেরামতের জন্য ৬-৭ লক্ষ টাকা করে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা, ১১২টি বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে ২.২৪ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ তলা বিশিষ্ট ভাবন নির্মাণের প্রস্তাব ও ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে কুলাউড়া উপজেলায় মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট স্থাপনের প্রস্তাব প্রেরন। হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের জন্য ২৬৮ জনের নাম প্রস্তাব। মন্দির, মঠ, আশ্রম, আখড়া, শ্মশানসহ ২১টি প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের ও পুন;নির্মানের জন্য এবং আর্থিক অনুদানের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ। এছাড়া উপজেলার সনাতন ধর্মালম্বী অসচ্ছল ৭৭ ব্যাক্তিকে অঅর্থিক অনুদনের জন্য নাম প্রস্তাব। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ১৬টি মসজিদ পাঠাগার স্থাপনের জন্য বই ও আলমিরা প্রদান। আইসিটি বিভাগ থেকে উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনউিবেশন সেন্টার নির্মাণে প্রস্তাব প্রেরণ, ২১টি স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, আরও ২৮টি ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ।

 

বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মারে প্রস্তাব প্রেরণ। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলায় টেকনিক্যাল সেন্টার (টিটিসি) স্থাপনের প্রস্তাব প্রেরণ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ঢুলিপাড়া থেকে ফানাই নদী পর্যন্ত খাল খনন বাস্তবায়নাধিন, মরা গুগালিছড়া খাল খননসহ আরও ৬টি নদী ও খাল খননের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ, দরিদ্র মহিলাদের ৫০টি সেলাইমেশিন বিতরণ, ১৮৭জন নারীকে আর্থিক অনুদান। এছাড়াও আরও ১৫০ সেলাইমেশিন বিতরণ ও ২৬৪জনকে আর্থিক অনুদান প্রদানের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২০১৯-২৩ পর্যন্ত অসহায় দরিদ্র নারী শিশু ও প্রতিবন্ধিদেরকে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৯-২৩ পর্যন্ত ২৭৫ জন রোগিকে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান। আরও ২৬৫ টি আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে। সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে ১৮২ জনকে ৫ হাজার করে ৯ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান। আরও ১৬৩ টি আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে। নিউরোসাইন্স ফাউন্ডেশন থেকে ২১৫জনকে ১০ হাজার টাকা করে ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ ও আরও ১০০ টি আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে। এছাড়া সমাজকল্যাাণ মন্ত্রণালয়ে উপজেলায় ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও বিশেষ শিশুদের জন্য স্কুল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন