অল্প বৃষ্টিতেই হবিগঞ্জে জলাবদ্ধতা, দূর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩

অল্প বৃষ্টিতেই হবিগঞ্জে জলাবদ্ধতা, দূর্ভোগ চরমে

নিউজ ডেস্ক : হবিগঞ্জ শহরে অল্প বৃষ্টিতেই তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার রাস্তা ঘাট ও বাসা বাড়ি। বিশেষ করে গত দুই দিনে থেমে থেমে বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়কের শায়েস্তানগর, থানার মোড়, সার্কিট হাউজ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঘাটিয়া বাজার এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষজন। এছাড়াও প্রধান সড়কের পাশে অনেক দোকানপাটেও পানি উঠতে দেখা গেছে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের পুরাতন খোয়াই নদী দখল, পুকুর ভরাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শরহবাসিকে। নষ্ট হচ্ছে বাসা বাড়ি ও দোকান পাঠে থাকা মালামাল। এমতাবস্থায় দ্রুত পরিকল্পনা করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। যদিও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ড্রেন পরিস্কারে কর্মীদের নিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউ রহমান সেলিম।

 

সরেজমিনে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে শহরের প্রধান সড়কে হাঁটু পানি লেগে গেছে। যে কারণে শায়েস্তানগর এলাকার লোকজন বাসা থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে উঠতে পারছে না। অনেকেই আবার জামাকাপড় ভিজিয়ে যানবাহনে উঠছেন। তবে এক্ষেত্রে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাসা বাড়ি দোকাট পাঠে উঠা পানি সেচে পরিস্কার করতেও দেখা গেছে অনেককে।

 

শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা নুরুল হক কবির বলেন, পুরাতন খোয়াই নদীটি দীর্ঘদিন যাবত বেদখল হয়ে পড়ে রয়েছে। নদীর বিভিন্ন অংশ এমনভাবে দখল করা হয়েছে যাতে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। যে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি বাসা বাড়িতে উঠছে। আর এতে করে ঘরে থাকা মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদ জানান, শহরে পুর্বে পরিকল্পনা না করেই ড্রেন করা হয়েছে। যার দুর্ভোগ এখন সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে। কলেজ ছাত্র রোহান আহমেদ জানান, জলাবদ্ধতার কারণে বাসা থেকে বের হয়ে কলেজে যেতে পারছি না। হাঁটু পানি পর্যন্ত ভিজে গিয়ে রিক্সায় উঠতে হয়েছে আমাকে।

 

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, শহরবাসীর দুর্ভোগ লাগবে পৌর কর্তৃপক্ষ দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পরিস্কার করা হচ্ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তিনি বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গিয়ে ড্রেন পরিস্কার কাজের তদারকি করছি। এছাড়াও পৌর নাগরিকদেরকে ড্রেনে ময়লা ফেলার বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন