প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে। প্রায় ২০০ হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীতে আমরা এটি আরও বাড়াব। আমরা ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে কাজ করছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ চালু হবে, এমন টার্গেট রয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান অডিটরিয়ামে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম শুরু করেছি, এখানে ৬-১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে প্রায় ২২ লাখ থেকে ২৫ লাখ। এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ছেলে-মেয়ে আছে প্রায় দেড় কোটি। তাদেরও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দেশে প্রায় এক লাখ কেন্দ্র আছে।
তিনি বলেন, পুষ্টির বিষয়ে জাতির জনক নির্দেশনা দিয়েছেন, উনি পুষ্টি প্রতিষ্ঠান গঠন করেছেন। আমরা ভিটামিন এ-ক্যাপসুলের মাধ্যমে অনেক অর্জন করেছি। আমাদের শিশুরা একসময় রাতকানা রোগে ভুগত। প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাংশ ছিল। এখন এটি কমে দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের পুষ্টি ঘাটতি কমাতে হলে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের পাশাপাশি সুষম খাদ্যও দিতে হবে। তার জন্য আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়া প্রয়োজন। এখন দেশের মানুষের আয় চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, খাদ্য উৎপাদন ক্ষমতাও বেড়েছে। এজন্য আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা চলাকালীন পড়াশোনাও চলেছে। অটোপাস আমরা দিইনি। অন্য সব জায়গায় কিন্তু অটোপাস দেওয়া হয়েছে। আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জে আছে, আপনারা জানেন। আজ সকালে দেখলাম ২৫ শতাংশ লোক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। ডায়াবেটিসে ভুগছে আরও দেড় কোটি লোক। এ রোগগুলোর জন্য আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একটা আশার বিষয় দেখলাম, তামাক সেবন কমেছে। ধূমপানও কমেছে। আরেকটি বিষয় হলো শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে, এ রকম একটা সংবাদও দেখলাম। পরে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছে শিশুমৃত্যুর হার বাড়েনি। এটি আমরা বিশ্বাস করি এবং নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ২ বছরে ৩৬ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। যার মূল্য ৫০ হাজার কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আমাদের বাজেট ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকা। তাহলে আমাদের পারফরম্যান্স দ্বিগুণ হলো। টাকা খরচের পরিমাণের ওপরে আসলে পারফরম্যান্স নির্ভর করে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাঈদুর রহমান প্রমুখ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest