প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২৩
নিউজ ডেস্ক ঃঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের দুই নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন এক ওমান প্রবাসী।
গত ৬ জুন ২০২৩ ইং ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম নিজ স্ত্রী সহ তার স্ত্রীর ভাবির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে মামলা দায়ের করেন ( মামলার নং ৭৩/২৩)। মামলায় অভিযোক্ত দুই নারী হলেন লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের নোয়াই দক্ষিণ ভাগ কান্দিপাড়া (টিলাবাড়ি’র) হামিদা বেগম ও সাহিদা বেগম।
মামলার অভিযোক্ত সূত্রে জানা যায়, মোগলাবাজার থানার হরগৌরী গ্রামের ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং মুসলিম শরীহা মোতাবেক বিবাহ বন্ধনের আবদ্ধ হন নোয়াই গ্রামের মৌলভী আহমদ আলীর মেয়ে হামিদা বেগমের সাথে। বিবাহরে পর থেকে হামিদা বেগম পড়ালেখার অযুহাত দেখিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছেন বড় ভাইর স্ত্রী সাহিদা বেগমের সাথে। সেই অবস্থায় ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম স্ত্রী পড়ার লেখার জন্য এইচ.এস.সি ও সীমান্তিক কলেজে নার্সিং ডিপ্লোমা সনদ অর্জন বাবদ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন তিনি। তাছাড়া ৩টি দামী মোবাইল ফোন যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন তার স্ত্রীকে। তাছাড়া লন্ডনে কেয়ার ভিসা করার কথা বলে আরও ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, তিনি প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী হামিদা বেগমের বড় ভাই স্ত্রী সাহিদা বেগম তার নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ শর্তে ঋণ নিলে সে টাকা ও আত্মসাত করেন উভয়ে। ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম প্রবাসে থাকা অবস্থায় লোক মুখে জানতে পারেন তার স্ত্রী দেশে বেপরোয়া চলা ফেরা করিতেছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিনি ১৭ মার্চ ২০২৩ ইং দেশে আসনে। দেশে আসার পর তাজুল ইসলাম স্ত্রী হামিদা বেগমে নিজ বাড়িতে আনতে গেলে হামিদা বেগম স্বামী হিসেবে অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে তাজুল ইসলাম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তার ঘরে স্ত্রী থাকা অবস্থায় ওসমানী নগরের হবিবুর রহমান নামের একজন কে বিবাহ করেছেন এবং তার অজান্তে সিলেট শহরে বাসা বাড়া নিয়ে তার সাথে ঘর সংসারও করেছেন। সে সময় তাজুল ইসলামের কাছ থেকে পড়া লেখার খরচ দেখিয়ে বাসা ভাড়া সহ বিবিধ খরচ স্ত্রী হামিদা বেগম দাবী করলে প্রতি মাসে তাজুল ইসলাম তা প্রদান করতেন। হামিদা বেগমের অতিরিক্ত চলচাতুরী দেখে দ্বিতীয় স্বামী হাবিবুর রহমানের সন্দেহ দেখা দিলে উভয়ের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দেয় এক পর্যায়ে হামিদা বেগমকে ১২ জুন ২০২২ ইং তারিখে হাবিবুর রহমানও তালাক প্রদান করেন।
তাজুল ইসলাম খোঁজ নিয়ে আরোও জানতে পারেন, তার স্ত্রী হামিদা বেগম হাবিবুর রহমানকে তালাক দেওয়ার পর তার কাছ থেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে লন্ডনে যাওয়ার কথা বলে কেয়ার ভিসা বাবদ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এনে অন্য একটি ছেলে কে বিবাহ করেছেন বলে জানতে পারেন সেটিও অভিযোগ করেন। সব কিছু বিবেচনা করে স্ত্রী হামিদা বেগম ও স্ত্রীর বড় ভাই’র স্ত্রী সাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে বিচার চেয়ে প্রতারণার মামলা করেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest