বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২২

বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য আব্দুল জব্বারের  ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বানী দিয়েছেন

মো. আবু বক্কর : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মরহুমের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যাঁরা আজীবন বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন, প্রয়াত নেতা আব্দুল জব্বার তাঁদের অন্যতম। মরহুম আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়াল ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, প্রাক্তণ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ কৃষক লীগ, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বার-এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ই আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাযা আয়োজন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার হতে হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মেজর নূর রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে, ভোর রাতে হত্যার জন্য ব্রাশ ফাঁয়ার করতে গেলে তৎকালীন সেনা অফিসার জনাব আমিন আহমেদ চৌধুরী তাকে উদ্ধার করেন এবং তিনি প্রাণে বেঁচে যান। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করলে আবারও গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

 

একুশে পদক-এ ভুষিত, জনাব আব্দুল জব্বার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে প্রতিবাদে স্বোচ্চার থেকেছেন সবসময়। মাটি ও মানুষের সাথে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। মরহুম আব্দুল জব্বারের ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তার সততা ও জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
আজ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক উউকে বিডি টিভি ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্মরণসভা, ভার্চুয়ালি আলোচনা অনুষ্ঠান, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ফাতেহাপাঠ, মোনাজাত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এ ছাড়া দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্রসহ বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।