প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২২
অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সামরিক শাসনামলে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে।তিনি বলেন, ‘আমাদের বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট। এ সময় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।তিনি যোগ করেন যে তিনি এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন কারণ তারা তখন বিদেশে ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল।
জোরপূর্বক নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই অধ্যাদেশের কারণে তাদের বিচার চাইতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিল।
দুইবার চিলির প্রেসিডেন্ট থাকা মিশেল ব্যাচলেট বলেন, তার পরিবারকেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে যখন তার দেশে একটি অত্যাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল।
জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে ‘গভীরভাবে আলোড়িত’ হয়েছেন, যেখানে জাতির পিতাকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বৈঠকে তারা বর্তমান বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে চলমান কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে সংকট তৈরি করেছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক তা মিয়ানমার অস্বীকার করে না। তবে তারা এখনো তাদের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সাড়া দেয়নি।
তিনি বলেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কখনো কারো সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। বাংলাদেশ পৃথিবীর কোনো প্রান্তে কোনো যুদ্ধ চায় না।
সাক্ষাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ দমনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না।
চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি এবং ৬২ হাজার রিফিউজিকে ঘরে প্রত্যাবর্তন এবং ১৮০০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করানোর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এখন কৃষি সেক্টর এবং অ্যাগ্রো-প্রসেসিং শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest