পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার দুরূহ : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২৩

পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার দুরূহ : অর্থমন্ত্রী

2

অনলাইন ডেস্ক : বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া এবং পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ অত্যন্ত দুরূহ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

 

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

 

2

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

 

পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। বিভিন্ন পদ্ধতিগত ও আইনি জটিলতার কারণে অর্থ উদ্ধারে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়।

 

পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার এবং অর্থ পাচার রোধে সরকার কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ পাচারের মাত্রা বা পরিমাণ যাই হোক না কেন, পাচারের সম্ভাব্য উৎসগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি অর্থ পাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকারের সব বিভাগ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

1

 

পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ দুরূহ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা সংস্থা বিভিন্ন ধরনের মেথডোলজি ব্যবহার করে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে প্রাক্কলন করে। যার যথার্থতা ওইসব প্রতিষ্ঠানও দাবি করে না। এসব সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়, সে বিষয়ে পরস্পর বিরোধী তথ্য দেখা যায়। বস্তুত, অর্থ পাচারের পরিমাণ নির্ধারণ অত্যন্ত দুরূহ বিষয়।

 

ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, বৈদেশিক ঋণ জিডিপির শতকরা হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে। দেশি ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিমুক্ত ও সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।

 

4

তিনি বলেন, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। আইএমএফের প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০৩২ সাল পর্যন্ত দেশীয় ঋণসহ বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত।

8

 

বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নে ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদে ঋণ খেলাপির দায়ে ২১৭ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ঋণ খেলাপির দায়ে ১২ জন কৃষককে জেলে নেওয়ার ঘটনাটি (পাবনায়) বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাভুক্ত কোনো তফসিলি ব্যাংক নয়। আদালতের এখতিয়ারভুক্ত ঋণ খেলাপির দায়ে জেলে পাঠানোর ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

sylhet24

Follow for More!

1
8