প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
ফয়ছল আহমদ মুন্না, মিশিগান যুক্তরাষ্ট্র থেকে : ফেসবুক, ইউটিউব বা ব্লগ নামটির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ হয়ত নেই বললেই চলে। বলা হয়ে থাকে ফেসবুক বা ইউটিউবে এমন কোনো ভিডিও নেই যে পাওয়া যায় না।
আপনি যা জানতে চান অথবা যা শিখতে চান শুধু সার্চ দিলেই পেয়ে যাবে মুহূর্তের মধ্যেই। দিন দিন ভিডিওর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে বর্তমানে ইউটিউবে এত ভিডিও আছে যে আপনি যদি টানা ১ হাজার বছর বসে ভিডিও গুলো দেখেন তাহলেও দেখে শেষ করতে পারবেন না। এসব ভিডিও যারা দেয় তাদেরকে বলা হয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। আমরা কথা বলেছিলাম ঠিক এমনই একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের নাম ওয়াহিদা মিয়া।
তিনি বাংলাদেশের সকল নারী ব্লগারের মধ্যে প্রথম সারির একজন সফল ব্লগার বা সফল ইউটিউবার। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র মিশিগান স্টেটের জনপ্রিয় একটি মুখ ওয়াহিদা। যিনি ওয়াহিদা’স টাইনি ওয়ার্ল্ড ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে লাখ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে ওয়াহিদা টাইনি ওয়ার্ল্ড নামটি ব্যবহারের কারণে তিনি লক্ষ লক্ষ ভক্তের কাছে ওয়াহিদা’স টাইনি ওয়ার্ল্ড নামেই পরিচিত।
ওয়াহিদার জন্ম বাংলাদেশের সিলেট জেলায়। সিলেটের মাটিতেই শৈশব, কৈশোর কাটিয়েছেন। সিলেট শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া থেকে এসএসসি, এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি ( বিজ্ঞান বিভাগ), সিলেট মেট্রিপলিটন ইউনিভার্সিটির থেকে বিবিএ তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন বিয়ে হয়ে যায়। বৈবাহিক সুত্রে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াহিদার পদচারনা।
ওয়াহিদার শশুড় বাড়ির সবাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি। আমেরিকা আসার পর পড়াশোনা চালিয়ে যান। বড় ছেলে আদিয়ানকে নিয়ে সংসার ধর্ম পালন করে পড়াশোনা করা অনেক কঠিন ছিল। তবুও থেমে থাকেন নি ওয়াহিদা। এখানে জেনারেল এডুকেশন এর উপর ইসোসিয়েট, এবং রেজিস্টার্ড নার্সিং এর উপর এসোসিয়েট করেন। এক বছরের বেশি সময় ব্যাংকে ও চাকরি করেন।
জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই ওয়াহিদা সংস্কৃতিমনা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যোগদান করেছেন এবং অনেক পুরস্কার ও অর্জন করেছেন। সিলেট রোটারি ক্লাব আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তার ও খেতাব পেয়েছেন তিনি।
ওয়াহিদা জানান, নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর স্বামীর সাপোর্ট আর আল্লাহর রহমত থাকলে মেয়েরা যেকোন কিছুই করতে পারে এবং সকল বাধা অতিক্রম করতে পারে। ওয়াহিদা আরও বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই ভালবাসার কাঙাল আর চাইতাম সবার ভালবাসা পেতে। খুব স্বপ্ন দেখতাম যাতে আমার নামটা কোন ভাল কাজের দ্বারা সবার কাছে পরিচিত হোক। আমার মৃত্যুর পর ও যেন মানুষ আমার নামটা মনে রাখে। কিন্তু আমার স্বপ্ন যে এভাবে পূর্ণ হবে তা কল্পনার ও করিনি। মানুষের মুখের যখন শুনি আমার ব্লগ দেখে উপকার পান, রেসিপি ট্রাই করেন, আনন্দ পান তখন সত্যিই খুব ভাল লাগে।
ওয়াহিদা বলেন, ব্লগিং এর শুরুর দিকে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে অনেক বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছিল। কারন অনেকের ই এই ব্যাপারে ধারনা ছিলনা। কিন্ত এখন অনেক গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। ব্লগিং করে যে ঘরে বসে কিছু করা যায়, অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে পারা যায়, অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে পারা যায় তা এখন কারোরই অজানা নয়।
ওয়াহিদা আরও জানান, আমাকে দেখে এখন হাজারো নারী স্বপ্ন দেখে ভাল কিছু করার, নিজেকে স্বাবলম্বী করার। আমার ফেসবুক গ্রুপ ওয়াহিদা’স টাইনি ওয়ার্ল্ড এ প্রতি শুক্রবার নতুন সব বোনদের চ্যানেল লিংক শেয়ার করার সুযোগ দিয়েছি। সেখানে হাজারো লিংক শেয়ার করা দেখলে নিজের মনটা খুশিতে ভরে যায়। আমাদের কমিউনিটির লোকাল বিজনেস ও যাতে পরিচিতি পায় সেটা ও খেয়াল রাখি ঐ গ্রুপে।
বাচ্চারা ছোট থাকায় অনেক কাজ ই আপাতত স্থগিত রেখেছেন। ওরা বড় হলে কমিউনিটির জন্য অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে। তার চ্যারিটি গ্রুপ “কাইন্ড হার্টেড পিপলস” কে ও সামনে এগিয়ে নেওয়ার ও স্বপ্ন দেখেন। একটা সময় এই গ্রুপের মাধ্যমেই বাংলাদেশের অনেক দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে প্রচণ্ড মিস করেন তিনি। ওয়াহিদা বলেন, বাংলাদেশকে খুব মিস করি। প্রতিটি ব্লগে আমার টাইনি ওয়ার্ল্ডের সদস্যরা আমাদের দেশে যাওয়ার অপেক্ষা করেন। নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে করি আর আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া আদায় করি সবার এতো ভালবাসা পাওয়ার জন্য। সবার ভালবাসা নিয়ে এভাবেই সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest