সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিনসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা

প্রকাশিত: ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিনসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা

6

 

1

নিউজ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার দায়ে সিলেট আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়রসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। গতকাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি রেকড ভুক্ত করা হয়েছে। মামলা নং-৫৪। হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা উক্ত মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়রসহ ৬১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে দেশব্যাপী গণ আন্দোলন সৃষ্টি হলে উক্ত আন্দোলনে মাহমুদুল হাসান সাগর সক্রিয় কর্মী হিসেবে অংশগ্রহন করেন।

 

১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪সহ দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪/১১৪ দ:বি: ধারায় দায়ের হওয়া এই মামলায় ৬১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জিয়াউল হক। মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে থানার সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো: হুমায়ুন কবির।

 

মামলায় আসামিরা হলেন ১. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫২) সাবেক মেয়র, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ২. আছাদ উদ্দিন (৬০), সাবেক সাধারন সম্পাদক, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ, ৩. বিধান কুমার সাহা (৫০) যুগ্ম সম্পাদক সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ, ৪. শেখ মোহাম্মদ আলফু মিয়া (৪৫) বমা মানিকের সহযোগী ও যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা, ৫. জগদিশ চন্দ্র দাশ (৫২) সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, ৬. মখলিছুর রহমান কামরান (৫০) সাবেক কাউন্সিলর ৯নং ওয়ার্ড সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ৭. জগলু চৌধুরী (৫৫), সাবেক সভাপতি সিলেট জেলা ছাত্রলীগ ও প্রচার সম্পাদক সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ, ৮. এজাজুল হক এজাজ (৫৮), সভাপতি সিলেট জেলা শ্রমীক লীগ, ৯. দেবাংশু দাস মিন্টু (৪৫), সাধারণ সম্পাদক সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ১০. নাজমুল ইসলাম (৪০), সভাপতি সিলেট জেলা ছাত্রলীগ, ১১। মামুন উরফে বুলেট মামুন (২৪) নাজমুলের সহযোগী, ১২. ইমন আহমদ (২২), সহ-সভাপতি সদর উপজেলা ছাত্রলীগ, ১৩. ইসলাম উদ্দিন (২৪), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, ১৪. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) সাবেক কাউন্সিলর ৩৫নং ওয়ার্ড, ১৫. অনিত দাস (৩০) সদস্য মহানগর ছাত্রলীগ ১৬. সাজন আহমদ (৩০) ছাত্রলীগ নেতা ও নাজমুলের সহযোগী, ১৭. আব্দুস সালাম (৪৫) সদস্য মহানগর যুবলীগ, ১৮. শিপলু আহমদ (৪২) আনোয়ারুজ্জানের সহযোগী, ১৯. অরুন কুমার দেব নাথ সাগর (৪৫), সাবেক সভাপতি মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগ, ২০. ফয়েজ আহমদ রাশেদ (৪৫), মহনগর, যুবলীগ নেতা, ২১. আজহারুল আলম শাকিল (৪৫) মহানগর যুবলীগ নেতা, ২২. নিলয় হাসান অপু (২৮), সহ-সভাপতি এয়ারপোর্ট থানা ছাত্রলীগ, ২৩. রাসেল মিয়া (৪০), সদস্য মহানগর যুবলীগ, ২৪. ইফতি (আহমদ) ২৫. মেহরাব হোসেন অপি (৩০), ২৬. নুরুল আমিন (২৮), ২৭. মোঃ সানী (২৮), সহ সভাপতি এয়ারপোর্ট থানা ছাত্রলীগ, ২৯. রাকিব আহমদ (২৮) সহ সভাপতি এয়ারপোর্ট থানা ছাত্রলীগ, ৩০. রাহি আহমদ (২৭), ৩১. তুহিন দেশআহমদ (৩০), ৩২. ফয়েজ আহমদ (২৭), সহ সভাপতি ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ ৩৩. ফাহিম আহমদ (২৯), সাংগটনিক সম্পাদক ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ, ৩৪. রিপন আহমদ (৩০), জালালাবাদ, ছাত্রলীগ নেতা, ৩৫. আবুল কয়েছ ইসরাইল (৫৫), সাবেক সাধারন সম্পাদক ৮নং আশাড়কান্দি ইউ/পি আওয়ামীলীগ, ৩৬. সৈয়দ আপ্তাব মিয়া টিপু (৪১), যুবলীগ নেতা, ৩৭. হাসান খান (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক লীগ আপ্তাব গ্রæপ এর সহযোগী, ৩৮. জুয়েল আহমদ (৪৫), যুবলীগ নেতা, ৩৯. বাদশাহথ (৪৫), শ্রমীকলীগ নেতা, ৪০. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন (৪৬), সাংগঠনিক সম্পাদক আওয়ামী লীগ, ৪১. দিনার আহমদ (৪০), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুলের সহযোগী, ৪২. জসীম মিয়া (৩০), ছাত্রলীগ নেতা ও নাজমুলের সহযোগী, ৪৩. রবিন শাহরিয়া (শাহিরান) (৩০), সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ৪৪. বাহার মিয়া (৪০) যুবলীগ নেতা, , ৫৫. মুস্তাক আহমদ পলাশ (৫০), সা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কানাইঘাট, প্রচার সম্পাদক সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, ৪৬. আব্দুস সালাম (৪৫), সদস্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, ৪৭. বাদশা মিয়া (৪০), সদস্য মহানগর যুবলীগ, ৪৮. সাফওয়ান মিয়া (২৩), সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ, ৪৯. শিমন চৌধুরী (৩৮), সদস্য জেলা ছাত্রলীগ ও নাজমূলের সহযোগী, ৫০. জনি হোসাইন (৩৬), সদস্য সিলেট জেলা ছাত্রলীগ, ৫১. রহিম উদ্দিন (৪৫), সাবেক সভাপতি ছাতক থানা আওয়ামীলীগ, সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের সহযোগী, ৫২. আব্দুল মালিক সুজন (৫৫), সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা, ৫৩. ফয়সল আহমদ তফাদার (৪৮), সভাপতি ১ওয়ার্ড যুবলীগ, ৫৪. আব্দুল কাদির (৫০), সদস্য মহানগর আওয়ামীলীগ, ৫৫. মোঃ বশির আহমদ (৪০), সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ সভাপতি, ৫৬. শাহরিয়ার আহমদ শামিম (৪৩), সিলেট ক্রিয়া সম্পাদক দিরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ, ৫৭. মোঃ দুলাল মিয়া (৩৬), যুবলীগ নেতা টিলাগড় গ্রæপ, ৫৮. ছালিক আহমদ (৪০), যুবলীগ সদস্য জকিগঞ্জ উপজেলা, ৫৯. রাজিব আহমদ (৪০), যুবলীগ কর্মী, ৬০. মোঃ চুনু মিয়া (৪৮). যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ৬১. মুউর আলী (৪৭), স্বেচ্ছা সেবক লীগ কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন। বাদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। আসামীরা ফ্যাস্টিস্ট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

 

3

বিগত জুলাই ২০২৪ইং থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কৌটা বিরোধী দাবীতে সারা দেশব্যাপী কর্মসুচি পালনের অংশ হিসাবে বিগত ১৯/০৭/২০২৪ইং তারিখে সিলেট কতোয়ালী থানাধীন বেলা ২.০০ ঘটিকায় বন্দর বাজার, কোর্ট পয়েন্ট পাকা রাস্তার উপর ছাত্র-জনতার সহিত মিলিত হইয়া মিছিল সহকারে আসিলে পূর্ব থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, পাইপগান, কাটা রাইফেল মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। বাদী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা বিরুধী দাবীতে ছাত্রদের সমর্থন করে একত্মতা পোষন পূর্বক ছাত্রদের সাথে মিছিলে অংশ নেন।

6

 

ঐদিন দেশব্যাপী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাতীলীগ সহ ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে তৎকালীন স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসিয়া আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র জনতাকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ প্রদান করে। এমনকি প্রত্যক্ষভাবে সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য প্রত্যেকটি জেলা ও থানায় এবং মেট্রোপলিটন কমিশনার অফিস, দেশের সকল বিজিবি ক্যাম্প সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদেরকে নির্দেশনা প্রদান করে ।

 

1

একপর্যায়ে পথিক লোকজন অজ্ঞান ও রক্তাক্ত অবস্থায় বাদীকে দেখিতে পাইয়া ঘটনাস্থল হইতে সিএনজি যোগে দ্রæত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার চেস্টা করিলে গ্রেফতারের ভয়ে বাদী সেখানে আর ভর্তি হন নাই। পরবর্তীতে ডাঃ নাহিদ হাসান দিপক এর তত্বাবধানে চিকিৎসা করান। বাদীর অবস্থার অবনতি হইলে বিগত ২০/০৭/২০১৪ইং হইতে ২১/০৭/২০২৪ইং তারিখে পর্যন্ত পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিলেটে চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করান। বিগত ১৯/১১/২০২৪ইং তারিখে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা করান। অত:পর বাদী চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে যাইয়া আত্মীয় স্বজনের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া আসামীগনের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে ৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে বিষ্ফোরক আইনে ২৮ মার্চ, ২০২৫ ইং তারখে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

sylhet24

Follow for More!

1
3